স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট সিটিজেন তৈরিতে ভূমিকা রাখবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি থাকলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোন পরীক্ষায় অংশ নিতে হয় না। এখনও সেশনজট আছে বলে অভিযোগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন কলেজ শিক্ষার্থীদের। শিক্ষকদের পদোন্নতিতে গবেষণাপত্রের প্রয়োজন হয় না; ব্যাচ ভিত্তিক প্রমোশন হওয়াতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষকদের গবেষণায় তেমন আগ্রহও দেখা যায় না। প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পর ১ম সমাবর্তন হলেও সম্প্রতি ২য় সমাবর্তন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু জিপিএ’র ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়া কতটুকু যুক্তিসংগত; স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কেমন ভূমিকা রাখবে; সেশনজট নিরসন এবং নিয়মিত সমাবর্তন আয়োজনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে কথা বলেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের নিজস্ব প্রতিবেদক আব্দুল কবীর ফারহান।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২টি শর্ট কোর্স চালু করা হয়েছে। কর্মমুখী শিক্ষায় এসব কোর্স কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে?
ড. মো. মশিউর রহমান: আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ১২টি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (পিজিডি) কোর্স চালু করেছি। কেন্দ্রীয়ভাবে চালু করে আপাতত শুধু মডেলটা এক্সপেরিমেন্ট করা হচ্ছে; এই কোর্স সমূহ মূলত কলেজে পরিচালনা করা হবে; তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রতিবার অল্প কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ৬টি কোর্সে ১ম ব্যাচ ভর্তি নেওয়া হয়েছে; ২য় ব্যাচ থেকে ১২টি কোর্সেই ভর্তি নেওয়া হবে। পরবর্তীতে যেসব কলেজকে যোগ্য মনে হবে তাদেরকে এই কোর্সসমূহ পরিচালনার জন্য অনুমোদন দেওয়া হবে। গতানুগতিক শিক্ষা থেকে বেরিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। এতে শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দেশও এগিয়ে যাবে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: প্রতিষ্ঠার ৩১ বছরে মাত্র ১টি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ২য় সমাবর্তন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এটি কবে নাগাদ অনুষ্ঠিত হবে এবং কতজন শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারবে এই সমাবর্তনে? আগামীতে নিয়মিত সমাবর্তন আয়োজনের কোন পরিকল্পনা আছে কিনা?
ড. মো. মশিউর রহমান: সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চ্যান্সেলরকে নিয়ে আমরা এই সমাবর্তন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সাবেক রাষ্ট্রপতির মেয়াদের শেষদিকে সময় স্বল্পতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। আমরা নতুন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য চিঠি দিয়ে রেখেছি। সাক্ষাতে আমরা সমাবর্তন নিয়ে আলোচনা করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এই বছর আমাদের ‘অধ্যক্ষ সম্মেলন ও ছাত্রবৃত্তি’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠান আছে। আমাদের দুটি অনুষ্ঠানই এবছর করার পরিকল্পনা আছে। কোন কারণে সম্ভব না হলে ২য় সমাবর্তন টা পরের বছর শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে। পূর্বের ন্যায় এই সমাবর্তনের ভেন্যুও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে করা হবে, সেখানে আসন সংখ্যা অনুযায়ী ২ হাজার ৫শ শিক্ষার্থী এতে অংশ নিতে পারবে। তবে সমাবর্তন শেষে সবাইকেই সনদ দেয়া হবে।
কেন দেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় মিলে একটি অভিন্ন পরীক্ষাপদ্ধতি চালু করে না? একটি পরীক্ষা নিয়ে সেই স্কোরের আলোকে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি নিতে পারে। বেশি দূরে তাকানো লাগে না; আমাদের মেডিকেল সমূহের ভর্তিতে এই পদ্ধতি ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত। আমরা বিশ্বমানের কথা বলি; কিন্তু নিজের সময় আমরা খুব ট্র্যাডিশন ফলো করি। আমাদের প্রথাগত নিয়ম থেকে বেরিয়ে এসে ভর্তি পদ্ধতি আপডেট করতে হবে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও সেশনজট আছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। সেশনজট নিরসনে কোন পরিকল্পনা আছে কিনা?
ড. মো. মশিউর রহমান: ইন্টারমিডিয়েটের পরে আমাদের কাছে আসার মাঝেই শিক্ষার্থীদের একটা গ্যাপ হয়ে যায়। যেমন ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের ২০২২ সালে পেয়েছি আমরা। এখন যাকে আমরা ২০২২ সালে পেয়েছি তার ন্যূনতম ক্লাস সম্পন্ন করে পরীক্ষা নিতে নিতেই স্বাভাবিকভাবে ২০২৩ সাল হয়ে যাবে। এখানে আমরা এক বছরে পরীক্ষা নিলেও ওই শিক্ষার্থীদের সেশন হিসেবে জট থাকে ২ বছরের বেশি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে একজন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পর থেকে স্নাতক শেষ হতে সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৮ মাসের একটা জট হয় তা বলা যায়। দুয়েকটি বিভাগে পরীক্ষা সংক্রান্ত জটিলতা থাকতে পারে তা নিয়ে আমাদের আলোচনা করতে হবে।
স্বল্প সময়ের যে জট আছে তাও কমানোর পরিকল্পনা আমাদের আছে, কিন্তু এতে প্রতিবন্ধকতা হলো আমাদের অধিভুক্ত কলেজসমূহের মধ্যে অল্প কয়েকটি ছাড়া বেশিরভাগ কলেজে আলাদা পরীক্ষা কেন্দ্র নেই। এক্ষেত্রে আমার একটা পরামর্শ হলো সরকার প্রত্যেকটি জেলা অথবা উপজেলা পর্যায়ে একটি মাল্টিপারপাস ভবন করতে পারে যেখানে পরীক্ষা কেন্দ্রও থাকবে। তাহলে কারো পরীক্ষা নেওয়ার জন্য অন্যদের ক্লাস বন্ধ রাখতে হবে না। এছাড়া ক্লাস পরীক্ষা একত্রে চালিয়ে জট কমানোর জন্য আমাদের কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরিকল্পনাও আছে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কেমন ভূমিকা রাখবে? এজন্য কোন পরিকল্পনা করা হয়েছে কিনা?
ড. মো. মশিউর রহমান: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমাদের স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভঃমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি দরকার। আমাদের একটি লক্ষ্য থাকবে স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করা। এখন আমরা আইসিটি অবশ্যই পাঠ্য করতে যাচ্ছি, আর আগে থেকেই আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস পড়াচ্ছি। এছাড়া আমরা ধীরে ধীরে ইন্টারপ্রেনারশীপ, ডিজিটাল মার্কেটিং, ল্যাংগুয়েজসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কোর্স পাঠ্য করব তা স্মার্ট সিটিজেন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোন পরীক্ষায় অংশ নিতে হয় না। শুধু জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়া কতটুকু যুক্তিসংগত?
ড. মো. মশিউর রহমান: আলাদা ভর্তি পরীক্ষা নিলে যে অনেক মেধা নিশ্চিত করে তা কিন্তু না। ভর্তিচ্ছুরা আগে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা দিয়ে আসে, সেটাও কিন্তু পরীক্ষা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি করানো হয়। হার্ভার্ড, অক্সফোর্ড এবং ক্যামব্রিজসহ পৃথিবীর উন্নত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে যখন বাংলাদেশের ছেলে মেয়েরা ভর্তি হয় তারা কিন্তু সেখানে ভর্তি পরীক্ষা দেয় না। আইএলটিএস, টোফেল এবং স্যাটসহ বিভিন্ন টেস্ট দিয়ে সেই স্কোর অনুযায়ী তারা ভর্তি হচ্ছে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: শিক্ষক প্রশিক্ষণে ‘মাস্টার প্ল্যান’ করার কথা ছিল, তার অগ্রগতি কতটুকু?
ড. মো. মশিউর রহমান: শিক্ষকদেরকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিতে আমরা মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছি এবং তা বাস্তবায়নের দিকেও যাচ্ছি। মাস্টার প্ল্যানের অংশ হিসেবে ৫ হাজার শিক্ষককে কিছুদিনের মধ্যেই আইসিটি ট্রেনিং করানো হবে; আগামী ৩ মাসেই তা দৃশ্যমান হবে। আমি শুধু স্বপ্ন দেখার পক্ষে না, আমি যতটুকু সম্ভব বাস্তবায়নও করে যেতে চাই। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে আমি একটি টিম করে কাজও শুরু করে দিয়েছি। এছাড়া মেন্টাল হেলথ এর উপর ট্রেনিং করিয়েছি এবং ধীরে ধীরে সব মাস্টার প্ল্যানের বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছি।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি-বেসরকারি কলেজের সংখ্যা কত? কোন কলেজকে নতুন করে স্নাতক খোলার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে কিনা? নতুন করে স্নাতকের অনুমোদন দেয়ার প্রক্রিয়া কি?
ড. মো. মশিউর রহমান: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২ হাজার ২৫৭টি কলেজ রয়েছে। এই মুহূর্তে নতুন করে অনার্স অনুমোদন দেওয়ার কোন পরিকল্পনা নেই আমাদের, আরও পরে আমরা সেটি বিবেচনা করব। তবে কিছু ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ডিগ্রীর জন্য আবেদন করছে। যদিও আবেদনকারী সবাইকে দেওয়া সম্ভব হবে না, তবে এর মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান রেজাল্ট, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, লাইব্রেরী এবং টিচার সহ সমস্ত যোগ্যতা অর্জন করে আবেদন করবে; আমাদের বিবেচনায় তাদেরকে যোগ্য মনে হলে ডিগ্রী খোলার অনুমোদন দেয়া হবে; তবে এর সংখ্যা অনেক কম হবে।
আমাদেরে গবেষণা ফান্ড আছে কিন্তু শিক্ষকরা ফান্ডের জন্য আবেদন করছে না। কারণ তার প্রমোশনের জন্য গবেষণা করা লাগছে না, এজন্যই তারা এতে আগ্রহী নয়। তবে কিছু কলেজ শিক্ষক আছেন যারা বই লেখেন। অনেক কলেজ শিক্ষকের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের তুলনায় ভালো বই রয়েছে। সাহিত্য, কবিতা, বিজ্ঞান এবং ইংরেজি সাহিত্যসহ বিভিন্ন বিষয়ের বই আছে। কিন্ত এই অল্প কয়েকটা দৃষ্টান্ত দিয়ে হবে না, এটিকে আরও বাড়িয়ে ব্যাপক করতে হবে। আমি কয়েকটি মিটিংয়ে এটি নিয়ে আলোচনা করেছি। একদিনে তো আর হবে না, ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসবে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: যেসব কলেজের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত ছিল তা বাদ দিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাধিকবার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু যারা এখনো বাদ দেয়নি তাদের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা?
ড. মো. মশিউর রহমান: এরকম না করা উচিৎ বলে আমি মনে করি। আমাদের পক্ষ থেকে কলেজসমূহকে দুই বার চিঠি দেওয়া হয়েছে। অনেকগুলো কলেজ নাম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শব্দটি বাদ দিয়েছে। আমার চোখে এটি এখন কম পড়ছে। কিছু কলেজকে দেখা যাবে চিঠি-পত্রে পরিবর্তন এনেছে কিন্তু এখনো সাইনবোর্ড পরিবর্তন করে নাই। আবার অনেকে সাইনবোর্ড পরিবর্তন করলেও চিঠি-পত্রে নামের পরিবর্তন আনে নাই। তারপরও আমাদের সামনে পড়লে আমরা সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জিজ্ঞেস করি। আগামীতে যদি আমরা কোনভাবে জানতে পারি কোন কলেজ এখনো এটি পরিবর্তন করে নাই, তখন আমরা সাথে সাথে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পদোন্নতি ব্যাচ ভিত্তিক হওয়াতে গবেষণায় তেমন আগ্রহ দেখা যায় না। বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?
ড. মো. মশিউর রহমান: এই বিষয়টি নিয়ে আমি শিক্ষা সচিবসহ আমাদের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মিটিংয়ে আলোচনা করেছি। এতে কলেজ শিক্ষকরা মনঃক্ষুণ্ণ হতে পারে। আমার নিজের করে দেওয়া বেসরকারি কলেজের পদোন্নতির নীতিমালায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, গবেষণা প্রবন্ধ থাকতে হবে। তাই বেসরকারি কলেজ এখন প্রমোশন দিতে পারে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সরকারি কলেজে পদোন্নতির জন্য শুধু চাকরির অভিজ্ঞতা অথবা শুধু সার্ভিসের সময় হিসেব করা হয়। আমি শিক্ষা সচিব মহোদয়কে অনুরোধ করেছি যে, এখানে পরিবর্তন আনা উচিৎ। কারণ আমাদের শিক্ষকরা গবেষণা বিমুখ হয়ে পড়েছে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিং দেখতে চান কিনা?
ড. মো. মশিউর রহমান: শিক্ষার্থীর দিক বিবেচনায় অনেক সময় আমরা র্যাঙ্কিংয়ে ভালো পজিশনে থাকি, কিন্তু আমি এই দাবি করবোই না। বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মানদণ্ডে দাঁড় করিয়ে আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে আনতে ইতিমধ্যে কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে আসতে আরও সময় লাগবে। শিক্ষার্থী সংখ্যা কমিয়ে না আনলে একটি এফিলিয়েটেড ইউনিভার্সিটির এত অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে আসতে আরও সময় লাগবে। র্যাঙ্কিংয়ের মডেলে এনে স্নাতক করানো হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও একসময় র্যাঙ্কিংয়ে আসবে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা অন্য ক্যাম্পাস অনার্স চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।