২৯ জুন ২০২৩, ১৭:০০

হাসি-আনন্দে কেটেছে জীবনের ২৪টি ঈদ

মো. রিয়াজুল হক  © টিডিসি ফটো

মো. রিয়াজুল হক। ৩৫তম বিসিএসের শিক্ষা ক্যাডারে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। নিয়োগের পর থেকে শিক্ষকতা পেশায় দীর্ঘ একটি পথ অতিক্রিম করেছেন তিনি। সম্প্রতি তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের মুখোমুখি হয়েছেন। বলেছেন তার নিজের ব্যক্তি জীবনের কথা। উঠে এসেছে কলেজ নিয়ে তার ভাবনার কথাও। তার কথাগুলো শুনেছেন কলেজ প্রতিনিধি জুনায়েদ সিদ্দীকি


দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: জীবনে কয়টি ঈদ পেয়েছেন?
মো. রিয়াজুল হক: পবিত্র ইদ উল আজহার শুভেচ্ছা। যেহেতু আমার বয়স ৩৪ বছর সেহেতু আমি তো ৩৪টি ইদ পেয়েছি। দেখুন ১০-১২ বছর পর্যন্ত বয়সের ঈদের স্মৃতি আর কতটুকুই বা মনে থাকে। এর পরের সবগুলো ঈদ হাসি-আনন্দে গতানুগতিক কেটেছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সবচেয়ে স্মরণীয় ঈদ কোনটি ছিলো এবং কেন?
মো. রিয়াজুল হক: স্মরণীয় বলতে তেমন কোন ঈদের কথা আলাদা করে মনে পড়ছে না। তবে ২০১৭ সালে নিজের প্রথম উপার্জিত অর্থে কোরবানি করার কথাটা বিশেষভাবে মনে আছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এখন ঈদ কেমন অনুভূত হয়?
মো. রিয়াজুল হক: ঈদ বিশেষ করে ঈদ-উল-আজহা একটি বিশেষ অনুভূতি নিয়ে হাজির হয় আমার কাছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার কাছে ঈদুল আজহার মাহাত্ম্য কেমন?
মো. রিয়াজুল হক: ঈদ-উল-আজহা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এর রয়েছে একটি বিরাট অবদান। এ ঈদকে ঘিরে পরিচালিত হয় বিরাট এক অর্থনীতির। মহান সৃষ্টিকর্তার এ বিশেষ বিধান পালনের ধর্মীয় মাহাত্ম্য যেমন অনন্য তেমনি এর আর্থসামাজিক গুরুত্বও অপরিসীম। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ঈদুল আজহার প্রধান শিক্ষা কি হওয়া উচিৎ?
মো. রিয়াজুল হক: ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়াই এর মূল শিক্ষা হওয়া উচিত। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ঈদ নিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে যদি কিছু বলতেন
মো. রিয়াজুল হক: আপনার মাধ্যমে প্রিয় শিক্ষার্থীদেরকে জানাচ্ছি ঈদের শুভেচ্ছা। কোরবানি উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের বলতে চাই- তোমারা ছুটির দিনগুলোতেও অল্প করে হলেও প্রতিদিন কিছু পড়াশোনা করবে। কোরবানির পশুর সাথে কোনভাবেই সেলফি তোলা, প্রাণীকে উত্যক্ত করা যাবে না। কোরবানির পশু জবাই এবং কাটতে যাবে না; এ বিষয় দক্ষ না হলে। এ ছুটিতে ঘোরাঘুরির ক্ষেত্রে সব সময় নিরাপত্তা-সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: একজন শিক্ষক হিসেবে পাঠদান করানোকে কতটুকু উপভোগ করেন?
মো. রিয়াজুল হক: অত্যন্ত আনন্দের সাথে উপভোগ করি পাঠদানকে। বিবেকের তাড়না অনুভব করি শিক্ষার্থীদেরকে শেখানোর জন্য। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার মতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?
মো. রিয়াজুল হক: পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালবাসা ও দায়বদ্ধতার। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বিএম কলেজে আপনি শিক্ষক হিসেবে আছেন, আপনার ধারণা মতে কলেজ প্রশাসন কতটুকু শিক্ষার্থীবান্ধব?
মো. রিয়াজুল হক: আমি মনে করি এ কলেজের প্রশাসন শতভাগ শিক্ষার্থীবান্ধব। প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি কিছু কিছু অনতিক্রম্য সীমাবদ্ধতা নিয়েও শিক্ষার্থীদের আন্তরিক ও গুনগত সেবা দিয়ে যাচ্ছে। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: একজন শিক্ষক হিসেবে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শুনতে চাচ্ছি।
মো. রিয়াজুল হক: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি কলেজের শিক্ষক হিসেবে এর পরীক্ষা পদ্ধতি ও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সার্বিক পরিস্থিতি আমাকে ভীষণভাবে ভাবায়। আমি মনে করি স্নাতক পর্যায়ে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ১ম বর্ষ থেকেই একটি অংশের উচিত সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া।

অন্য অংশের উচিত সাবজেক্ট ভালো করে পড়া, আর একটি অংশের উচিত উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা। এ নিয়ে আমি যথাসম্ভব কাজ করি আমার শিক্ষার্থীদের নিয়ে। প্রত্যেক শিক্ষক আসলে একজন জীবনব্যাপী শিক্ষার্থী  তথা  জ্ঞান অন্বেষণকারী। 
 নতুন নতুন প্রশিক্ষণ গ্রহন ও উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনও আমার অন্যতম পরিকল্পনা।