ঢাকা বোর্ডের ৯৮ ভাগ সেবা ডিজিটালাইজড

প্রফেসর তপন কুমার সরকার
প্রফেসর তপন কুমার সরকার  © টিডিসি ফটো

করোনাকালীন সময় থেকে দেশের সকল সংস্থা অনলাইনে সেবা দিয়ে আসছে। এর ফলে একদিনে যেমন ভোগান্তি কমেছে; অন্যদিকে সেবা সহজ হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা বোর্ডগুলোর সেবাও ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। তবে ডিজিটাল সেবার মধ্যেও ফাঁক-ফোকর রয়েছে। এগুলো দূর করতে তৎপর ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডের নানা বিষয় নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে কথা বলেছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সিনিয়র রিপোর্টার শিহাব উদ্দিন

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: শিক্ষা বোর্ডে কোনো কাজ করতে গেলে ঘুষ দিতে হয়— এমন অভিযোগ থেকে আপনার মুক্ত হতে পেরেছেন?
প্রফেসর তপন কুমার সরকার: আমাদের প্রায় সকল পরিসেবাই অনলাইনে সম্পন্ন হয়। বয়স, নাম সংশোধন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ফিও অনলাইনে পরিশোধের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে শিক্ষা বোর্ডের ৯৮ ভাগ কাজই ডিজিটাইলাইজড হয়েছে। ফলে ঘুষ নেওয়ার কোনো সুযোগ আর নেই।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এবার এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতর সংখ্যা বেশি বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন। এর কারণ কি?
প্রফেসর তপন কুমার সরকার: দেখুন নানা কারণে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় উপস্থিত হতে পারেন না। অনেকে রেজিস্ট্রেশন করলেও ফরম ফিলাপ করতে পারেন না। এসব কারণে আপাত দৃষ্টিতে অনুপস্থিতির সংখ্যা বেশি মনে হতে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে এই সংখ্যা ঠিকই রয়েছে।

প্রতিদিন ৩০-৩২ হাজার শিক্ষার্থী অনুপস্থিতির যে খবর গণমাধ্যমের শিরোনাম হচ্ছে, সেটি কিন্তু একটি শিক্ষা বোর্ডের নয়। কারিগরি এবং মাদ্রাসা মিলিয়ে আমাদের ১১টি শিক্ষা বোর্ড রয়েছে। কাজেই গড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকছেন। মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড বাদ দিলে এই গড় দুই হাজারের নিচে নেমে আসবে। এ ছাড়া গত বছরেরে এসএসসি পরীক্ষার পরিসংখ্যান দেখেন। গতবার এর চেয়েও বেশি শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এবার শিক্ষার্থী অনুপস্থিতির সংখ্যা কমেছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের অভিযোগ রয়েছে, নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদি সংশোধন করতে অনেক সময় লেগে যায়। এর কারণ কী?
প্রফেসর তপন কুমার সরকার: নামের বানান, বয়স, জন্ম তারিখ এগুলো সংশোধন করতে হলে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। যে আগে আবেদন করবেন তার আবেদনটি আগে নিষ্পত্তি করা হয়। এক্ষেত্রে যিনি পরে আবেদন করেছেন স্বাভাবিকভাবে তার ক্ষেত্রে সময় কিছুটা বেশি লাগবেই। ইচ্ছাকৃত ভাবে কারো কোনো আবেদন দেরিতে নিষ্পত্তি করা হয় না। টেকনিক্যাল কোনো সমস্যা থাকলে সেক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হতে পারে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এসএসসি পরীক্ষার সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাই। ফলাফল কতদিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে?
প্রফেসর তপন কুমার সরকার: এখন পর্যন্ত খুব সুন্দরভাবে পরীক্ষা গ্রহণ চলছে। দেশের কোনো জায়গা থেকে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এসএসসির ফল প্রকাশে আমাদের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। সাধারণত লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এবারও সেভাবেই ফল প্রকাশ করা হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনাকে ধন্যবাদ।
প্রফেসর তপন কুমার সরকার: আপনাকেও ধন্যবাদ।


সর্বশেষ সংবাদ