‘ইনডেক্সধারীদের বাদ দিতে গিয়ে কেউ কেউ বাদ পড়তে পারেন’

ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক
ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক  © ফাইল ছবি

চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে মেধাতালিকায় এগিয়ে থেকেও অনেক নিবন্ধনধারী নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ পাননি। নম্বর বেশি থাকলেও তাদের সুপারিশ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রার্থীদের এসব অভিযোগ নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস কথা বলেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের স্টাফ রিপোর্টার মো. শিহাব উদ্দিন

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: মেধাতালিকায় এগিয়ে থেকে অনেকে সুপারিশ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র বক্তব্য কী?
এনামুল কাদের খান: বেসরকারি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে যে সকল শিক্ষক আগে থেকেই কর্মরত আছেন, তাদের আবেদনগুলো বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। অনেক ইনডেক্সধারী জাতীয় মেধাতালিকায় এগিয়ে রয়েছেন। তবে তাদের আবেদনের সুযোগ শিক্ষা মন্ত্রণালয় বন্ধ করেছে। তাই অনেকে মেধাতালিকায় এগিয়ে থাকলেও নিয়োগের সুপারিশ পাননি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ইনডেক্সধারীদের আবেদনের সুযোগ না দেওয়ার কারণ কী?
এনামুল কাদের খান: যেহেতু ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের নম্বর বেশি। তারা গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেন প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের জন্য। তাদের চাকরির দরকার নেই। তাদের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানে পদ শূন্য থেকে যাচ্ছে। দেখা যেত আমাদের ৩০ হাজার শূন্য পদ রয়েছে। ইনডেক্সধারীদের যদি আবেদনের সুযোগ দেওয়া হত তাহলে ওই ৩০ হাজার পদ শূন্যই থেকে যেত। সেজন্য তাদের আবেদনের সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: একাধিক নিবন্ধনে একই রোল নম্বররের প্রার্থী রয়েছে। এক্ষেত্রে ইনডেক্সধারীদের বাদ দিতে গিয়ে ফ্রেশ নিবন্ধনধারীরাও বাদ পড়েছে। তাদের বিষয়ে এনটিআরসিএ’র সিদ্ধান্ত কী?
এনামুল কাদের খান: চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেও সুপারিশ না পাওয়া প্রায় শতাধিক প্রার্থী আমাদের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। আমরা আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করছি। প্রকৃত অর্থে কেউ  বঞ্চিত হলে যদি শূন্য পদ থাকে তাহলে তাদের নিয়োগের পুনঃসুপারিশ করা হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: যে প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন, তারা নিজ উপজেলায় সুপারিশ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলেন। কেউ ভুক্তভোগী প্রমাণিত হলে তাকে কোথায় সুপারিশ করা হবে? 
এনামুল কাদের খান: আমরা চেষ্টা করবো তাদের নিজ জেলা কিংবা উপজেলাতে সুপারিশ করার। কতজন ভুক্তভোগী রয়েছে সেটি আগে দেখতে হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: কবে নাগাদ এই প্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশ করা হতে পারে?
এনামুল কাদের খান: আমরা কিছু আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ করেছি। বাকিগুলোও দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করছি। আমাদের চেষ্টা থাকবে অনলাইনে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ চলাকালীন বাদপড়া প্রার্থীদের ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করার। সেটি সম্ভব না হলে চূড়ান্ত সুপারিশের সাথে তাদেরও সুপারিশ করা হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনাকে ধন্যবাদ।
এনামুল কাদের খান: আপনাকেও ধন্যবাদ।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ৫০৮ জন এবং মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি স্কুল-কলেজে ৩৬ হাজার ৮৮২ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে। এক লাখের বেশি চাকরি প্রার্থী শিক্ষক হওয়ার আবেদন করেন। 

আবেদনকৃতদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল রোববার ৩২ হাজার ৪৩৮ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তদের পুলিশ ভেরিফিকেশন আগামী ৩১ মে পর্যন্ত চলবে। এরপর ভেরিফিকেশন চলমান রেখে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে। 


সর্বশেষ সংবাদ