মেধাতালিকায় এগিয়ে থেকেও সুপারিশ না পাওয়া ইস্যুতে যা বললেন চেয়ারম্যান

এনামুল কাদের খান ও এনটিআরসিএ লোগো
এনামুল কাদের খান ও এনটিআরসিএ লোগো  © ফাইল ছবি

নিবন্ধনধারীদের জাতীয় মেধাতালিকার বাইরে বিষয় ভিত্তিক মেধাতালিকাও রয়েছে। অনেকে জাতীয় মেধাতালিকায় এগিয়ে থাকলেও বিষয় ভিত্তিক মেধাতালিকায় পিছিয়ে রয়েছেন। যার ফলে তারা নিয়োগের সুপারিশ পাননি।

মেধাতালিকায় এগিয়ে থাকলেও অনেক নিবন্ধনধারীর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ না পাওয়া প্রসঙ্গে এসব কথা বলেছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান।

জানা গেছে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারী (আগে থেকেই এমপিওভুক্ত) শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ বন্ধ রাখা হয়েছিল। এই প্রার্থীরা যেন আবেদন করতে না পারেন সেজন্য তাদের নিবন্ধন সনদের রোল নম্বর সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর থেকে সংগ্রহ করেছিল এনটিআরসিএ। ইনডেক্সধারীদের রোলগুলো টেলিটকের মাধ্যমে ব্লক করে রাখে এনটিআরসিএ। তবে বিভিন্ন নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের রোল নম্বর একই হওয়ায় সবগুলো রোলই ব্লক হয়ে যায়। এর ফলে আবেদন করলেও নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ পাননি অনেকে।

চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ১-১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিবন্ধনধারীরা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে চাকরি করছেন। তাদের অধিকাংশই ইনডেক্স পেয়েছেন। যে সকল নিবন্ধন সনদের রোলে ইনডেক্স রয়েছে, সেগুলো ব্লক করে রাখায় ফ্রেশার হিসেবে চাকরির আবেদন করলেও রোল নম্বর একই হওয়ায় ভালো নম্বর এবং মেধাতালিকায় এগিয়ে থেকেও চাকরির সুপারিশ পাননি তারা। 

প্রার্থীদের এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, চাকরিপ্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করেছেন। তাদের আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করেছে টেলিটক। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অটোমেটিক পদ্ধতিতে করা হয়েছে। এখানে ভুল হলে সেই দায়ভার আমাদের না। এটা টেকনিক্যাল ভুল হতে পারে।

এনামুল কাদের খান আরও বলেন, যারা জাতীয় মেধাতালিকার পাশাপাশি বিষয় ভিত্তিক মেধাতালিকায় এগিয়ে থেকেও নিয়োগের সুপারিশ পাননি; তাদের আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। প্রকৃত অর্থে তার অভিযোগ সঠিক হলে আমরা সেটি সংশোধন করে দেব।


সর্বশেষ সংবাদ