গুচ্ছ নিয়ে কোন সংকট দেখছে না ইউজিসি: অধ্যাপক আলমগীর
বর্তমানে তিন গুচ্ছে ৩০টিরও বেশি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছে, ৮টি বিশ্ববিদ্যালয় কৃষিতে এবং ৩টি প্রকৌশল গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হচ্ছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও অর্থের অপচয় রোধে এমন উদ্যোগ নেয়া হলেও ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় সেটি ফলপ্রসু হয়নি।
উল্টো এই ভর্তি প্রক্রিয়ায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এরই জেরে এবার ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসতে প্রস্তুত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। এ নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিগগির তাদের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা দ্রুত আয়োজনে গুচ্ছভুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। বিগত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন এবং ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু ও শেষ এবং শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর তারিখ নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আহবান জানিয়েছেন ইউজিসি সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। সম্প্রতি ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা ও ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর এ সম্পর্কিত এক পর্যালোচনা সভায় তিনি এ আহবান জানান।
২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সংকটের বিষয়ে সম্প্রতি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, গুচ্ছ নিয়ে কোন সংকট নেই। আমরা তিনটি গুচ্ছের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের সাথে মিটিং করেছি। সেখানে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিগত বছরে যেসব সমস্যা ছিল এবার সেগুলো সমাধান করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে গুচ্ছ নিয়ে ফিল্ড রিসার্চ হয়েছে। সেখানে উঠে এসেছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক সবাই চায় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হোক। এর প্রেক্ষিতেই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেয়া শুরু। যেকোনো কিছুরই শুরুর দিকে কিছু সমস্যা দেখা যায়, পরবর্তীতে সেগুলো ওভারকাম করতে হয়। গুচ্ছের ক্ষেত্রেও বিষয়টা এমনই।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিরোধীতার বিষয়ে তিনি বলেন, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সিমিতির বিরোধীতার বিষয়ে আমরা শুনেছি। তবে সিদ্ধান্ত তো শিক্ষক সমিতির নয়, এটা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আগের ভোগান্তির ব্যাপারে তিনি বলেন, ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা আমরা জেনেছি। তাই এবার ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি যাতে দূর হয়, সে বিষয়টি মাথায় রাখা হবে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের আহবান জানানো হয়েছে।