শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আমরাই দায়ী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৩, ০৪:২০ PM , আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৩, ০২:১১ PM
বিগত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন নেতিবাচক কারণে সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। বিশেষত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের দ্বারা র্যাগিংয়ের নামে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনার পর আবারো আলোচনায় এসেছে শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ এবং ছাত্র সংগঠনের ভূমিকা। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন মনে করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বর্তমান এ পরিস্থিতির জন্য সকলেরই দায় আছে।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা যেখানে আনন্দের সাথে শিক্ষা গ্রহণ করে, নতুন আবিষ্কারে ব্যস্ত থাকে সেখানে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা আতংকে দিন কাটায়। ইবির ঘটনাটি সামনে এসেছে কিন্তু অনেক ঘটনাই সামনে আসছে না। কম-বেশি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটছে। অনেক সময় শিক্ষার্থীদের বর্ণনা শুনে শিউরে উঠি। সবচেয়ে ভয়ংকর এবং দুঃখজনক বিষয় হলো অধিকাংশ সময় প্রশাসনের ছত্রছায়ায়, বিভিন্ন শিক্ষকদের ছত্রছায়ায়ই এসব নির্যাতন হচ্ছে। আর একারণেই ইবির ঘটনায় হাইকোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
আরো পড়ুন: ফুলপরীর ঘটনায় কী শিখলো ইবি ও ছাত্রলীগ
নবীন শিক্ষার্থীদের বিশেষ কেয়ার নেয়া উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিশেষ কেয়ার নেয় হয়। ভর্তির পরপরই তাদের জন্য একটি সিট নিশ্চিত করা হয়, যাতে তারা নিরাপদে থাকতে পারে। কারণ নবীন শিক্ষার্থীরা সদ্য পরিবার ছেড়ে নতুন একটি জায়গায় পা রাখে, নতুন পরিস্থিতিতে তাদের মানিয়ে নিতে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে সহয়। কিন্তু আমাদের এখানে উল্টোটা করা হয়। এখানে নবীনরা সিট পান না, যে যত প্রবীণ তার সিট পাওয়ার অধিকার তত বেশী। ফলে নবীনরা একটা ভালনারেবল পরিস্থিতিতে পড়েন।
এই অধ্যাপক আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা যে পরিবেশে বাস করছে সেটি কোনো পড়ালেখার উপযোগী পরিবেশ নয়। তারা প্রতি মুহূর্তে আতংকে কাটায় আর এই পরিস্থিতির জন্য আমরা সকলেই দায়ী। প্রশাসন সব দেখেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বরং নির্যাতনকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে, সাংবাদিকরা চুপ থাকছে, অভিভাবকরা সব জেনেও প্রতিবাদ করছে না, আমরা শিক্ষকরা এসব বন্ধে কার্যকর কিছু করছি না। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমাদের এই সবকিছু থেকেই বেরিয়ে আসতে হবে।