করোনার লড়াইয়ে প্রথম স্প্রে উদ্ভাবন বাংলাদেশি সাদিয়ার
করোনা নিয়ে নাকানিচুবানি খাচ্ছে পুরো বিশ্ব। করোনার প্রভাব উর্ধ্বমুখী হওয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশেও চলছে কঠোর লকডাউন। এবার এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্ষম এমন একটি জীবাণুনাশক স্প্রে “ভল্টিক” আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ বিজ্ঞানী সাদিয়া খানম। যা চমকে দিয়েছে পুরো বিশ্বকে। এরমধ্যে ১ কোটি অর্ডার পেয়ে গেছেন তিনি। বিশ্বের প্রায় ১৩টি দেশ থেকে এ বিশাল অর্ডার তিনি পেয়েছেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড মহামারি মোকাবেলায় এই উদ্ভাবনকে বড় ধরনের আবিষ্কার হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে এবং ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা এনএইচএসসহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর এটিকে অনুমোদন দিয়েছে।
জানা গেছে, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকসহ অন্যান্য জীবাণুকেও ধ্বংস করতে সক্ষম এ জীবাণুনাশকটি কেবল হাসপাতাল, হোটেল, মোটেল, রেস্তোঁরা কিংবা বিমানই নয়, ব্যবহার করা যাবে নিউক্লিয়ার স্টেশনেও। ১৪ মাসের প্রচেষ্টায় তৈরি এ জীবাণুনাশকটি নাসাসহ বিভিন্ন স্বতন্ত্র পিয়ার-পর্যালোচিত ল্যাবে সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশের সরকার ও বেশকিছু প্রতিষ্ঠান এটি কিনতেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এমনকি, এটি ব্যবহারের ফলে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা ৭০% সংরক্ষণ করা সম্ভব বলেও জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলো।
ভল্টিক নিয়ে সাদিয়া খানম বলেন, এই জীবাণুনাশ প্রক্রিয়ার একটি অংশ হচ্ছে কোনো জীবাণু যদি কোনো কিছুর সংস্পর্শে আসে তখন তাকে ধ্বংস করে ফেলা। অর্থাৎ কোনো কিছুর পৃষ্ঠ বা সারফেসের ওপর যদি কোনো ভাইরাস থাকে এর সাহায্যে তাকে সাথে সাথেই মেরে ফেলা যায়। এটি চামড়া থেকে শুরু করে কাঠ, লোহা, কাপড় সব ধরনের সারফেসের ওপর কাজ করে বলে গবেষণায় তিনি দেখতে পেয়েছেন।
তবে পারিবারিক ব্যবসার সাথে নিজেকে না জড়িয়ে ছোটবেলা থেকেই গবেষণায় মন দিয়েছিলেন সাদিয়া। ব্ল্যাকবার্ন মাদ্রাসা থেকে সফলভাবে জিসিএসই এবং আলিমা কোর্স পাস করেন। পরবর্তীতে ম্যানচেস্টারের হলি ক্রস সিক্সথ ফর্ম কলেজে পড়াশোনা শেষ করে চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেনেটিক্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। আলঝাইমা ও নিউরোডিজেনার ওপর পিএইচডি শুরু করেছিলেন সাদিয়া। যদিও বর্তমানে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তা স্থগিত রয়েছে।