স্বল্পমূল্যের ভেন্টিলেটর উদ্ভাবন রুয়েট গবেষক দলের
করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ভেন্টিলেটর। ‘দুর্বার কাণ্ডারি ইমার্জেন্সি ভেন্টিলেটর’ নামের একটি ভেন্টিলেটর তৈরি করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা। এই ভেন্টিলেটর তৈরি করতে খরচ পরবে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা।
রুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মাসুদ রানার তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে গঠিত ‘দুর্বার কাণ্ডারি’ নামক একটি টিম দুই মাসের মাসের চেষ্টায় এ ভেন্টিলেটর তৈরি করেন।
মঙ্গলবার রুয়েট জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এর আগে দুপুরে রুয়েট ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের হল রুমে অনুষ্ঠিত রুয়েটের দুর্বার কাণ্ডারি টিম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুয়েট ভিসি প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখ।
এসময় ভিসি প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখ বলেন, দুর্বার কাণ্ডারি ইমার্জেন্সি ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভেন্টিলেটর সংকট সমস্যার সমাধান করবে-এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
টিমের তত্ত্ববধায়ক এবং প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. মাসুদ রানা বলেন, এ ভেন্টিলেটর অত্যন্ত কম খরচে দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এটি পরিচালনা করা অত্যন্ত সহজ এবং নিরাপদ। এই ভেন্টিলেটরটি বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় এমআইটি কর্তৃক করোনাকালে প্রস্তুতকৃত ইমার্জেন্সি ভেন্টিলেটরের মডেল অনুসরণ করে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ভেন্টিলেটরটি মাত্র ৩০-৩৫ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রস্তুত করা সম্ভব। দেশিয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং কেবলমাত্র করোনা আক্রান্ত রোগীদের চাহিদার কথা ভেবে দুর্বার কাণ্ডারি ইমার্জেন্সি ভেন্টিলেটর প্রস্তুত করা হয়েছে। করোনা মহামারী এবং লকডাউনের সময় গঠিত হওয়া দুর্বার কাণ্ডারি টিম এ ভেন্টিলেটরটি প্রস্তুত করেছে। এ ভেন্টিলেটরটি আরও উন্নত করার জন্য টিমের সদস্যরা দিনরাত পরিশ্রম করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেন, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. মিয়া মো. জগলুল সাদত, পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. মো. ফারুক হোসেন, ইসিই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. শামীম আনোয়ার, উপপরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) মামুনুর রশীদ ও আবু সাঈদ, রুয়েটের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. মকসেদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও দুর্বার কান্ডারি টিমের সদস্য যথাক্রমে রাফিউল ইসলাম (ইইই-১৫), মাহমুদুল হাসান ( ইইই-১৫), ওয়াসিফ আহমেদ (এমটিই-১৬), রাফি রহমান (এমই-১৫), রফি উদ্দিন (এমই-১৫) ও মাশরুর সাকিব (সিএসই-১৬) উপস্থিত ছিলেন।