১২ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:২৩

মানব উন্নয়ন সূচকে প্রতিবেশিদের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

  © সংগৃহীত

শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, ১৮ বছর পর্যন্ত প্রয়োজনীয় শিক্ষা সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য খাতে অগ্রগতি ফলে মানব উন্নয়ন সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। এই দিক থেকে প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমারের চেয়ে ভাল অবস্থানে রয়েছে ১৬কোটির এই দেশে। বিশ্ব ব্যাংকের ২০১৮ সালের মানবসম্পদ সূচকে এই চিত্র পাওয়া গেছে। এই সূচক অনুযায়ী, ১৫৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০৬ তম। ভারত ও পাকিস্তান যথাক্রমে ১১৫ ও ১৩৪তম। বাংলাদেশ থেকে এক ধাপ পিছিয়ে মিয়ানমার(১০৭)।

গতকাল প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছে, মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশ ভালো করেছে। আরও ভালো করার সুযোগ আছে। কেননা, প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় এগিয়ে থাকলেও অন্য দেশগুলো আরও অনেক ভালো করছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের একজন শিশু বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা পেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গড়ে ৪৮ শতাংশ উৎপাদনশীলতা দেখাতে পারবে। আদর্শ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসুবিধা পেলে তারা শতভাগ কর্মদক্ষতা দেখাতে পারত, সেখানে তারা অর্ধেকের কম দেখাতে পারবে। অন্যদিকে ভারত ও পাকিস্তান এ ক্ষেত্রে আরও পিছিয়ে। ভারতের শিশুরা ৪৪ শতাংশ ও পাকিস্তানের শিশুরা ৩৯ শতাংশ কর্মদক্ষতা দেখাতে পারবে। 

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষতা, স্বাস্থ্য, জ্ঞান, প্রতিকুলতা মোকাবিলা সক্ষমতায় উন্নতি হলে জনশক্তির উৎপাদনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তিও বাড়ে। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় কাজের ধরণ ক্রমেই পাল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগও ক্রমেই বাড়ছে।

তবে উল্লেখ্যযোগ্য বিনিয়োগের পরেও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিনিয়োগে সিগনিফিকেন্ট গ্যাপের কারণে আগামীর জন্য বিশ্ব খুবই দুর্বল প্রস্তুতাবস্থায়। বিশ্বব্যাপী এখনো প্রায় এক চতুর্থাংশ শিশু খর্বাবস্থায় রয়েছে। যাদের জানার অধিকার ও সক্ষমতা বাধাগ্রস্ত। এছাড়া এখন পর্যন্ত বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠী প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবার বাহিরে। নিম্ন আয়ের দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ এখনো সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের বঞ্চিত।

উল্লেখ্য, গ্লোবাল ইকোনোমিকস ফোরামের বিশ্ব মানব সম্পদ উন্নয়ন সূচক-২০১৭ তে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১১তম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল শ্রীলঙ্কা। দেশটির অবস্থান ছিল ৭০তম। এর পরেই ছিল নেপাল(৯৮) ও ভারত(১০৭)। ওই প্রতিবেদনে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের অবস্থান ছিল ১২৫তম।