০৪ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪৭

উচ্চ ফলনশীল নতুন ধানের অনুমোদন

  © সংগৃহীত

উচ্চ ফলনশীল নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৫ ও ব্রি ধান ১০৬ এর অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় বীজ বোর্ড। এ দুইটি ধানের জাত বোরো ও রোপা আউশ মৌসুমে চাষ করা যায়। 

বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বীজ বোর্ডের ১০৯তম সভায় জাত দুটির অনুমোদন দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) জাত দুইটির উদ্ভাবন করেছে। 

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, বোরো মৌসুমে চাষের উপযোগী ব্রি ধান ১০৫ কম জিআই (গ্লাইসেমিক ইনডেক্স) সম্পন্ন, অর্থাৎ এ ধান থেকে পাওয়া চালে কার্বোহাইড্রেডের পরিমাণ তুলনামূলক কম। যে কারণে একে ‘ডায়াবেটিক ধান’ বলা হচ্ছে। এর গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৭ দশমিক ৬ টন। তবে উপযুক্ত পরিচর্যা এবং অনুকূল পরিবেশ পেলে ফলন বাড়তে পারে ৮ দশমিক ৫ টন পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: জাহেদের আহত হওয়ার সময় চেকপোস্টে ‘লুডু খেলায়’ ব্যস্ত ছিল পুলিশ

অপরদিকে, রোপা আউশ মৌসুমের ব্রি ধান ১০৬ অলবণাক্ততা জোয়ার-ভাটা অঞ্চলে চাষের উপযোগী। গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৪ দশমিক ৭৯ টন। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে হেক্টর প্রতি ৫ দশমিক ৪৯ টন ফলনও পাওয়া যেতে পারে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক বলেন, ব্রি ধান ১০৫ ধানের বৈশিষ্ট্য হল সবুজ পাতা, খাড়া ডিগ পাতা, মাঝারি লম্বা ও চিকন দানা। এ ধানের জিআই মান ৫৫.০। কম জিআই হওয়ার কারণে এটি ‘ডায়াবেটিক চাল’ হিসেবে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে আশা করা যায়।

এ জাতের ধান গাছের গড় উচ্চতা ১০১ সেন্টিমিটার। ব্রি ধান ১০৫ এর অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৭ শতাংশ এবং প্রেটিনের পরমিাণ ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। রান্না করা ভাত ঝরঝরে ও সুস্বাদু হয়।

অন্যদিকে ব্রি ধান ১০৬ আউশ মৌসুমের অলবণাক্ততা জোয়ার-ভাটা অঞ্চলের উপযোগী। এ জাতের ডিগ পাতা খাড়া, প্রশস্ত ও লম্বা। পাতার রং গাঢ় সবুজ। ধান গাছের গোড়া ও ধানের দানার মাথায় বেগুনি রঙ থাকে। গড় উচ্চতা ১২৫ সেন্টিমিটার। 

এক হাজার দানার ওজন ২৪ দশমিক ৫ গ্রাম। অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৭ দশমিক ২ শতাংশ এবং প্রোটিনের পরিমাণ ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। ভাত হয় ঝরঝরে।