বাদাম পাতার কনিকা আহরণে গবি গবেষক দলের পদ্ধতি উদ্ভাবন
সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাদাম পাতা নিয়ে গবেষণা করেছে বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের এক গবেষক দল। এ গাছের পাতার বিভিন্ন কনিকা আহরণে কার্যকর ও সাশ্রয়ী পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন তারা।
গবেষণার পূর্বে তারা দেখতে পান, বৈচিত্র্যময় বর্ণ কনিকার সমাহার রয়েছে বাদাম পাতায়। বসন্তের শুরুতে কচি পত্রপল্লবের আগমন থেকে শুরু করে বাহারি রংয়ের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে শীতের শেষে এই পাতা ঝরে পড়ে। বছর ব্যাপি এই রং বৈচিত্রে কচি সবুজ থেকে শুরু করে গাঢ় সবুজ, লাল, হলুদ, সোনালি এবং বাদামি বর্ণ ধারণ করে বাদাম পাতা।
পরে গবেষণা করে দেখা গেছে, বসন্তের শুরুতে নতুন পত্রপল্লবের আগমনের চতুর্থ সপ্তাহে বাদাম পাতায় উপরোক্ত রঞ্জকগুলো সর্বাধিক পরিমানে উপস্থিত থাকে। তাছাড়া উক্ত বর্ণ কনিকাগুলো আহরণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত তিনটি সলভেন্ট এর মধ্যে ইথানল সর্বাধিক কার্যকর, যা দামেও সাশ্রয়ী।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. ফুয়াদ হোসেন এবং ফার্মেসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. নিলয় কুমার দে'র তত্ত্বাবধানে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী সুপর্ণা রহমান টুছি সম্প্রতি সময়ের সাথে বাদাম পাতায় উপস্থিত ক্লোরফিল-এ, ক্লোরফিল-বি এবং ক্যারোটিনয়েডস এর পরিবর্তন ও পরিমাপ করেছেন। একইসাথে, এই বর্ণ কনিকা সমূহ আহরণের জন্য কার্যকর ও সাশ্রয়ী পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন এই গবেষক দল।
উল্লেখ্য, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনসহ খাবারে প্রাকৃতিক রঞ্জক হিসেবে বাদাম পাতায় উপস্থিত বর্ণ কনিকা সমুহ ব্যবহার করা যেতে পারে।