ইফতারের আগে কলেজছাত্রকে হত্যা, লাশ রাখা হয় ওয়ার্ডরোবে
মোবাইল ফোনে গেম খেলার বিরোধের জেরে কলেজ শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলামকে (১৯) খুন করা হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর মিনাবাগের ময়লার ভাগাড় থেকে রাকিবুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাকিবুলের বাবা আবদুল আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কদমতলী থানার উপপরিদর্শক আজহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত রাকিবুল শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এদিকে রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ হত্যার দায় স্বীকার করেছেন মামলার দুই আসামী। এই মামলার দুই আসামী হলেন দুই ভাই রবীন (২৪) ও রাসেল (২০)।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, রাকিবুল পরিবারের সঙ্গে কদমতলীর পাটেরবাগে থাকত। ঘটনার দিন দুপুর ৩ টায় রাকিবুল বাসা থেকে বের হয়। ইফতারের সময়ও সে বাসায় না ফেরায় তাকে খোঁজাখুঁজি করা হয়। এ সময় তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন : পরীক্ষার আগে প্রশ্ন না দেয়ায় ঘটেছিলো মারধরের ঘটনা
এ ঘটনা পুলিশকে জানায় তার পরিবার। পরে রাত দুইটায় মিনাবাগে ময়লার ভাগাড়ে মিলে রাকিবুলের মরদেহ।
সিডিআরের তথ্য বরাতে পুলিশ জানায়, রাকিবুলের সাথে রবীনের মুঠোফোনে কথা বলার তথ্য পায় পুলিশ। এরমধ্যে রবীন ঢাকা ছেড়ে চলে যায়। রবীনের খোঁজ নিতে তার ছোটভাই রাসেলকে আটক করে পুলিশ। রাসেল পুলিশকে জানায় রবীন এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং সে শরীয়তপুরে চলে গেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজহারুল বলেন, তারা এই হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। কারণসহ হত্যাকাণ্ডের বিবরণও দিয়েছে। রাকিবুল ও রবীন পূর্বপরিচিত ছিল। তারা মুঠোফোনে ফ্রি ফায়ার গেম খেলত। গেম খেলায় পাসওয়ার্ড নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধের জেরে রাকিবুলকে হত্যা করা হয়েছে।