করোনায় চট্টগ্রামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু
করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্রগ্রামে আতিক শাহরিয়ার মাহি (১৯) এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শিক্ষার্থী মাহি পটিয়া সরকারি কলেজে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়ন করছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
মাহি পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পৌরসভার মেয়র মো. আইয়ুব বাবুলের একমাত্র পুত্র। তার মা পটিয়া পৌর সদরের মোহছেনা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চাঁদ সুলতানা।
মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন নিহতের পিতা পৌরসভা মেয়র আইয়ুব বাবুল। বর্তমানে মাহির মরদেহ নিজ বাড়িতে আনা হয়েছে। একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন পিতা আইয়ুব বাবুল।
আরও পড়ুন- বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে করোনায় আক্রান্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে
তিনি জানান, করোনা পজেটিভ হওয়ার পর বেশ কিছুদিন ধরে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু বাঁচাতে পারলাম না। কুমিল্লা পর্যন্ত গেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আমার একমাত্র ছেলেটি।
আজ মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বাদ জোহর পটিয়া আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা শেষে মাহিকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। আতিক ২০২০ সালে পটিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাস করেন।
মাহির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে কুমিল্লায় মারা যান।
মাহির মৃত্যুতে পটিয়া পৌর সদরজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি মো. নাছির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশীদসহ আরও অনেকে। তারা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন- ভিসি অপসারণে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেধে দেবে শিক্ষার্থীরা
এদিকে চট্টগ্রামে করোনায় এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো এক লাখ ছয় হাজার ৪৫৭ জনে। এর মধ্যে নগর এলাকায় ৭৭ হাজার ৪৩৮ জন এবং উপজেলায় ২৯ হাজার ১৯ জন। এ ছাড়া মোট মৃত্যুবরণ করেছে ১ হাজার ৩৩৮ জন। এরমধ্যে ৭২৮ জন নগর এবং ৬১০ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।