একাদশে ভর্তির আবেদন শুরু ৮ জানুয়ারি
আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন। চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে তিন ধাপে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। এছাড়া নীতিমালায় ঢাকা ও জেলা পর্যায়ে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফিসহ সব ব্যয় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়, এবার শুধু অনলাইনে xiclassadmission.gov.bd একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করা যাবে। আবেদনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন পাঁচটি ও সর্বোচ্চ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা যাবে। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যারা এসএসসি পাশ করেছে তারা আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন- নতুন বছরে স্কুল-কলেজে যেভাবে চলবে ক্লাস
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি পাশ করা শিক্ষার্থীদেরও ভর্তির জন্য আবেদন করতে হবে। যারা পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করবে তাদেরও এ সময়ের মধ্যে ভর্তির আবেদন করতে হবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়, পুনঃনিরীক্ষণের ফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদন নেয়া হবে ২২ ও ২৩শে জানুয়ারি। ২৪শে জানুয়ারি পছন্দক্রম পরিবর্তনের সুযোগ দেয়া হবে। আর ২৯শে জানুয়ারি প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। ৩০ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে তাকে পুনরায় ফিসহ আবেদন করতে হবে। ৭ ও ৮ই ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন নেয়া হবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ই ফেব্রুয়ারি। ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হবে। ১৩ই ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন নিয়ে পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল এবং তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১৫ই ফেব্রুয়ারি।
এতে বলা হয়, ১৬ ও ১৭ই ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হবে। ১৯ থেকে ২৪শে ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। আর ২রা মার্চ থেকে কলেজগুলোতে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে।
আরও পড়ুন- জবি শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের দফায় দফায় হামলা
নীতিমালায় বলা হয়, নির্ধারিত ফির বেশি অর্থ আদায় করা যাবে না। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সেশনচার্জ ও ভর্তি ফি গ্রহণ করা যাবে। উন্নয়ন ফি আদায় করা যাবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ৫ হাজার টাকা, ঢাকা মহানগরের বাইরে ৩ হাজার, জেলা পর্যায়ে ২ হাজার আর উপজেলা ও সফম্বলে ১ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করা যাবে।