এইচএসসি পরীক্ষা কাল

কেন্দ্রে একজনের বেশি অভিভাবক নয়

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © প্রতীকী ছবি

আগামীকাল (২ ডিসেম্বর) সারাদেশে শুরু হতে যাচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা। করোনা মহামারির কারণে এ বছর পরীক্ষা চলার সময়ে অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এ সংক্রান্ত কিছু নির্দেশনাও দিয়েছে মন্ত্রণালয়। 

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষার কেন্দ্রে একজনের বেশি অভিভাবক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে আসতে পারবেন না। সেই সঙ্গে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে আসন গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। তবে অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের পর পরীক্ষাকেন্দ্রে এলে রেজিস্টারে নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে। বিলম্বে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে অবহিত করবে।

এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী প্রায় ১৪ লাখ। গত বছরের চেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৩৩ হাজার ৯০১।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে- কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে অন্য কেউ মুঠোফোন বা মুঠোফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবে না। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ট্রেজারি/থানা/নিরাপত্তা হেফাজত থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহনকাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরা কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রশ্নপত্র বহনকাজে কালো কাচযুক্ত মাইক্রোবাস বা এ রকম কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না।

প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট/কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) নিয়োগ দিতে হবে। ট্রেজারি/থানা/নিরাপত্তা হেফাজত থেকে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা তার মনোনীত উপযুক্ত প্রতিনিধি ট্যাগ অফিসারসহ প্রশ্নপত্র গ্রহণ করে পুলিশ পাহারায় কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট/কর্মকর্তার (ট্যাগ অফিসার) উপস্থিতি ছাড়া প্রশ্ন বের করা যাবে না বা বহন করা যাবে না।

ট্রেজারি/থানা/নিরাপত্তা হেফাজত থেকে পরীক্ষার কেন্দ্রে বহুমুখী নির্বাচনী প্রশ্নসহ রচনামূলক/সৃজনশীলের সব সেট প্রশ্নই নিতে হবে। প্রশ্নের সেট কোড পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে জানানো হবে। সে অনুযায়ী নির্ধারিত সেট কোডে পরীক্ষা নিতে হবে। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার), কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতি ও স্বাক্ষরের বিধি অনুযায়ী প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলতে হবে।

পরীক্ষা চলাকালীন এবং পরীক্ষা অনুষ্ঠানের আগে বা পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশকারী অননুমোদিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষা দেরিতে শুরু করতে হলে যত মিনিট পরে পরীক্ষা শুরু হবে, পরীক্ষার্থীদের সে সময় থেকে যথারীতি প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত নির্ধারিত সময় দিতে হবে।

পরীক্ষাকেন্দ্রে ও প্রশ্ন পরিবহনে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসসংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি জোরদার করবে।

কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পরীক্ষা অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য একজনের বেশি অভিভাবক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে আসতে পারবেন না। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর জারিকৃত গাইডলাইনের নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ