সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা
এইচএসসি সিলেবাসের বাকি পাঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবে শিক্ষার্থীরা
- ইলিয়াস শান্ত
- প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২১, ০৬:৪০ PM , আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২১, ০৬:৪০ PM
সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে উচ্চ মাধ্যমিকে শিক্ষার্থীদের বেশকিছু সিলেবাস বাদ পড়ে যাচ্ছে। তবে এতে শঙ্কার কোন কারণ নেই বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীদের বাদ পড়ে যাওয়া এসব অংশের সম্পূরক ক্লাস নিয়ে ঘাটতি পূরণ করা হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ ব্যাচের এসব শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় এসব ক্লাসের আয়োজন করবে। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকেও একটি নির্দেশনা দেওয়া হবে। এতে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজন অনুযায়ী ক্লাসে অংশ নিয়ে ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন।
এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরীক্ষা শুধু গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার সময় এবং পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। আবশ্যিক বিষয় ও চতুর্থ বিষয়ের কোন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এই পরীক্ষা হবে গ্রুপভিত্তিক শুধুমাত্র তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে। বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক তিনটি গ্রুপের শিক্ষার্থীরা যার যার গ্রুপের বিশেষায়িত তিনটি করে সাবজেক্টের ওপর সীমিত পরিসরে, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, পরীক্ষা দেবেন। পরীক্ষার সময় ও নম্বরও কমিয়ে আনা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সেক্ষেত্রে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, আইসিটি, ধর্মের মতো আবশ্যিক বিষয় বা চতুর্থ বিষয়ের ওপর পরীক্ষা হবে না।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এ পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকের মাঝে এক ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তারা বলছেন, যেসব বিষয় বাদ দিয়ে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে সেসব বিষয়গুলো পরবর্তী ক্লাসে শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে। আবার কেউ কেউ কোনভাবে এইচএসসি পরীক্ষাটা শেষ করার পক্ষে মত দিচ্ছেন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের প্রধান সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিষয় কমিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের এক ধরনের ঘাটতি তৈরি হতে পারে। এটা তারাও জানে। তারা যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে সাবজেক্টে ভর্তি হবে; বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজেদের মত করে একটা ব্যবস্থা নেবে। কারণ কোন শিক্ষার্থী এ ধরনের ঘাটতি নিয়ে পরবর্তী ক্লাসে কন্টিনিউ করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, এসব শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ভাবা হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা তাদের নির্দিষ্ট সাবজেক্টে ভর্তি হবে। তারপর তাদের ওই সাবজেক্ট সংশ্লিষ্ট কোন ঘাটতি থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তা পূরণে প্রথম দুই-তিন মাস সম্পূরক ক্লাস নেবেন।
সম্পূরক ক্লাসের মডেলের কথা জানিয়ে অধ্যাপক নেহাল বলেন, যদি কোন শিক্ষার্থী বুয়েটের প্রকৌশল অনুষদে ভর্তি হয়, এতে যতি কোন শিক্ষার্থীর উচ্চ মাধ্যমিকের বিষয়গুলোর কোন অধ্যায়ের ঘাটতি থেকে থাকে তাহলে বুয়েট আগে এটা শেষ করে পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু করবে। দেশের প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় এভাবেই পরবর্তী বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করবে।