শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ‘বহিষ্কার’
স্বাক্ষর জালিয়াতি, নিয়োগ ও ভর্তি বাণিজ্য এবং অসদাচরণসহ কয়েকটি অভিযোগে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় এক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষকে ‘বহিষ্কার’ করেছে কলেজ পরিচালনা কমিটি। বহিষ্কৃত রফিকুল ইসলাম উপজেলার যাদুরচর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে এখনও অধ্যক্ষের পদে বহাল আছেন বলে দাবি করেছেন শিক্ষক রফিকুল।
অধ্যক্ষের বহিষ্কারের বিষয়ে যাদুরচর ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী বলেন, রফিকুলের বিরুদ্ধে জাল সনদ দেখিয়ে নিয়োগ নেওয়া, স্বাক্ষর জালিয়াতি, শৃঙ্খলাভঙ্গ সহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা না করে কলেজ পরিচালনা কমিটির সাথেও অসদাচরণ করেন তিনি। পরে সব অভিযোগ আমলে নিয়ে তাকে অধ্যক্ষ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি জানান, অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের নিয়োগটা জাল সদনে নেয়া। কলেজ পরিপত্রে ১২ বছরের অভিজ্ঞতার কথা থাকলেও সেসময় তার এ অভিজ্ঞতা ছিল না।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মো. মজিবুর রহমান আরও বলেন, আমার স্বাক্ষর জাল করে ডিগ্রি শাখার ইতিহাস, ব্যবস্থাপনা, গ্রন্থাগারিকসহ ৪টি পদে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৭টি পদে নিয়োগ দিয়ে কলেজ উন্নয়নের নামে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। এছাড়াও ভর্তি, ফরমফিলাপ ও উপবৃত্তির টাকার কোনো হিসেবে তিনি দিতে পারেন না। ব্যাংকে একাউন্ট থাকলেও সেখানে কোনো লেনদেন নেই। এসবের হিসেবে চাইতে গেলে তিনি পরিচালনা কমিটির লোকজনের সাথে অসদাচরণ করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের একাধিক শিক্ষক জানান, অধ্যক্ষ পদ নিয়ে জটিলতার কারণে কলেজের প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
যাদুরচর ডিগ্রি কলেজের বর্তমান সভাপতি আব্দুস সালাম বলেন, অসদাচরণের কারণে কলেজ পরিচালনা কমিটি রফিকুলকে বহিষ্কার করেছে। তারপরও তিনি কলেজে এসে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যাদুরচর ডিগ্রি কলেজের বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, যারা আমাকে বহিষ্কার করেছেন তাদের মধ্যে সভাপতি ছাড়া কেউই কমিটির লোক নন। কারণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়মানুযায়ী তারা কমিটি নির্বাচিত হননি। তাই আমি বহিষ্কারও হইনি। আর যেহেতু বহিষ্কার হইনি তাই নিয়মিত কলেজে যাচ্ছি।