জিপিএ-৫ পাওয়ার কথা জানা হলো না নাহিদের

নাহিদ আলম
নাহিদ আলম  © ফাইল ফটো

মায়ের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন নাহিদ আলম। সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলে জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি। কিন্তু নিজেই সে কথা জানতে পারলেন না। হঠাৎ করে পেটের অসুখে আক্রান্ত হয়ে গত ১৭ তারিখ মারা যান তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের শফিউল আলম ও নারগিস আক্তারের ছোট ছেলে নাহিদ। তিনি ছেলেবেলা থেকেই মেধাবী।  ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি।

স্থানীয়রা জানায়, বোর্ড পরীক্ষায় বরাবরই ভালো ফল করেছেন নাহিদ। এর আগে পিএসসিতে জিপিএ-৫, জেএসসিতে ৪ দশমিক ৮৮, এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উর্ত্তীর্ণ হন তিনি। এইচএসসি পরীক্ষাতেও তাই ভালো ফলের আশা ছিল তার। কিন্তু হঠাৎ করে গত ১৭ জানুয়ারি পেটের অসুখে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।

এদিকে, শনিবার (৩০ জানুয়ারি) গত বছরের প্রকাশিত এইচএসসির ফল থেকে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন নাহিদ।

পরে সন্ধ্যায় নবীনগর পশ্চিম পাড়ায় নাহিদের বাসায় গিয়ে হৃদয়বিদারক এক দৃশ্য দেখা যায়। নাহিদের মা নারগিস আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে ছেলে তার কথা ঠিকই রেখেছে, কিন্তু সে সেই ফল দেখে যেতে পারলো না। নাহিদের ইচ্ছে ছিল চিকিৎসক হয়ে বিনামূল্যে রোগীদের সেবা দেওয়ার। তার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না।


সর্বশেষ সংবাদ