এ বছর ভিড় নেই মিষ্টির দোকানে
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই রাজধানীসহ সারাদেশের মিষ্টির দোকানে মিষ্টি বিক্রির ধুম পড়ে। ছোট-বড় সব মিষ্টির দোকানেই বেড়ে যায় বেচাকেনা। চাহিদাবুঝে মিষ্টি বিক্রেতারাও আগে থেকেই ফল প্রকাশের দিন দোকানে অতিরিক্ত মিষ্টির মজুদ রাখেন। অনেক দোকানেই আবার হরেক রকম বিশেষ মিষ্টির আয়োজনও থাকে। তবে এ বছর ভাটা পড়েছে সব আয়োজনে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অটোপাসের ফলাফলে ‘মিষ্টি বিক্রি হবে কি হবে না’ এমন দোলাচলে ছিলেন খোদ দোকানিরাই। তাদের সেই আশঙ্কাই যেন সত্যি হলো।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশিত হয়। এরপর বেলা ১১টা থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফল জানতে শুরু করেন। তবে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এবার অন্যান্য বছরের মতো রাজধানীর মিষ্টির দোকানগুলোতে অভিভাবকদের ভিড় বা আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়নি।
সরেজমিনে রাজধানীর ধানমন্ডি, কলাবাগান, সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, আজিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রমপুর, রস, ভাগ্যকূল, মিঠাই, মীনা সুইটস, মধুমিতা, বস, মুসলিম সুইটসসহ ছোট-বড় মিষ্টির দোকান ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
দোকানগুলোতে চলছে সপ্তাহের অন্য দিনের মতোই বেচা-বিক্রি।
দুপুরের পর কলাবাগানের বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের প্রধান শাখা ঘুরে দেখা যায়, অলস সময় পার করছেন বিক্রয়কর্মীরা।
ব্যবস্থাপক জানান , আগে যেকোনো পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরপরই দোকানে ক্রেতাদের ভিড় লেগে যেত। অভিভাবকরাই ভিড় জমাতেন। সকাল ১১টার পর থেকে একেবারে রাত অবধি চলত টানা বেচা-বিক্রি। শুধু ফল প্রকাশের দিনই নয় বরং এর পরের দুইদিনও চলত বেশ বেচাকেনা। তবে এবার ফল প্রকাশের দিনেও বেচা-বিক্রি নেই।