১৮ জানুয়ারি ২০২১, ২৩:৪৯

এসএসসি-এইচএসসির ক্লাস শুরু হতে পারে ১ ফেব্রুয়ারি

প্রতীকী

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) থেকে ২০২১ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্তত তিন মাস ক্লাস শেষ করে পরীক্ষা নেয়া হবে। এ পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে।

শিক্ষার্থীদের ক্লাস আয়োজনের বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এরই মধ্যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজও শেষ করেছে। এনসিটিবি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। এছাড়া শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিও এ বিষয়ে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত পরিসরে নেয়ার জন্য এনসিটিবি যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করেছে তা মঙ্গলবার বোর্ডে আসবে। এরপরই সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ নির্দেশনা চলে যাবে এবং ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের ক্লাস শুরু হবে।

সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের বিষয়ে জানতে এনসিটিবির (ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ) সৈয়দ মাহফুজ আলী বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে প্রতিটি বিষয়ের সিলেবাস থেকে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমিয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করেছি। যেসব বিষয়গুলো না শিখলেই নয় সেগুলো সিলেবাসে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে স্কুল খোলা সম্ভব হলে দুই থেকে আড়াই মাস যাতে ক্লাস পাঠদান করিয়ে পরীক্ষা নেয়া যায় সেভাবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। আর করোনার কারণে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কুল না যায় সেক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী অনলাইনে ক্লাস নেয়ার প্রস্তাব করেছি। শিক্ষকরা অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করবে।

এর আগে এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা বাদ হওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে নিয়ে ক্লাস করিয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে। পরীক্ষার আগের তিন মাস এসব শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, আমরা জানুয়ারির মাঝামাঝি সুবিধাজনক সময়ে দশম শ্রেণী এবং দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে এসে অন্তত তিন মাস ক্লাস করাব। এরপর একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে তাদের পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত শীতের প্রকোপটা বেশি থাকে। এরপরেই তিন মাসের যে সিদ্ধান্ত সেটা শুরু করব।