নম্বর বাড়িয়ে উত্তীর্ণ দেখানোর অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষার খাতায় নম্বর বাড়িয়ে উত্তীর্ণ দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি ফাতেমা জোহরা হকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি ধরার পরে নম্বর কমিয়ে ঘটনার প্রাথমিকভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
গভর্নিং বডির সভাপতির প্রতিনিধি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, গত শনিবার (২৭ নভেম্বর) ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের সময় দুইজন প্রার্থীর নম্বর বাড়িয়ে দেন শিক্ষক প্রতিনিধি ফাতেমা জোহরা হক।
পরীক্ষায় দুই জন প্রার্থীর খাতায় টেম্পারিং করে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান সভাপতি ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান তার প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মাজহারুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন। তিনি বিষয়টি পরীক্ষা করে নম্বর কমানোর বিষয়টি প্রমাণ পান।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে প্রার্থীর নম্বর বাড়ানো হয়েছিল তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। এখন কোনও সমস্যা নেই। নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভাগীয় কমিশনার ও ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বড়ির সভাপতির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের কোনও বিধান না থাকলেও তড়িঘড়ি করে কেনও অদৃশ্য পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অভিভাবক ফোরাম।
ফোরামের সভাপতি আব্দুর রহিম হওলাদার (রানা) বলেন, ‘অর্গানোগ্রামে না থাকলেও স্বজনপ্রীতি করে খাতা টেম্পারিং করা হয়েছে। আমি গত ৭ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে খাতা টেম্পারিং করা নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি।’
খাতা টেম্পারিংয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রতিনিধি ফাতেমা জোহরা হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয় যেভাবে শুনেছেন সেরকম নয়, এ ব্যাপারে পরে কথা বলবো।’