০৯ অক্টোবর ২০২০, ১৭:১১

এইচএসসির সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্টের নাম্বারিং আগের মতই

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছরের এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব শিক্ষার্থীর এইচএসসি বা সমমানের ‘ফল’ নির্ধারণে এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফল বিবেচনায় করা হবে। তবে এবারে ফল ভিন্ন হলেও এইচএসসির সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্টের নাম্বারিংয়ে কোন পরির্তন আসছে না। এইচএসসি ফলের জন্য গঠিত পরামর্শক কমিটি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র বলছে, এইচএসসি বা সমমানের ফল নির্ধারণে এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফল বিবেচনা করা হলেও এইচএসসির সনদপত্র আগের মতই হবে। প্রতি বছরের সনদপত্রের সঙ্গে মিল রেখে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সনদপত্রের নাম্বারিং করা হবে। অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, এইচএসসির উচ্চতর গণিত, যুক্তিবিদ্যার মত অনেক সাবজেক্টই এসএসসি কিংবা জেএসসিতে ছিল না। সুতরাং ওই সাবজেক্টগুলোতে পাস দেখানো হবে কীভাবে?

বিষয়টি খোলাসা করেছেন এইচএসসির ফল মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক। তিনি বলেছেন, 

গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাস করে নয় লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসাবে ফেল করেছিলেন তিন লাখ ৪৮ হাজার ৪৫৭ জন। তারা এবার পরীক্ষায় অংশ না নিলেও উচ্চ মাধ্যমিকের সনদ পেয়ে যাবেন।

এইচএসসির ফল মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, অনেক ধরনের পার্থক্যই এখানে আছে। কোন পরীক্ষার বিষয়ের সাথে আমরা অন্য পরীক্ষার বিষয়কে মূল্যায়ন করবো। তার জন্য বিষয়গুলোর একটি ম্যাপিং করতে হবে। আমাদের কারিগরি এবং মাদ্রাসা থেকে শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এসেছে। এছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও শিক্ষার্থীরা এসেছে। প্রতিটা কেইস বাই কেইস আমরা পরীক্ষা করবো। তবে এরপরেও যদি, কোন শিক্ষার্থীর ফল নিয়ে অসন্তোষ থাকে, তারা যেন পরের বছর মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে পারে, সেই সুপারিশও করবে কমিটি।

এ বছর যাদের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল, তারা এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২০১৮ সালে। ওই বছর ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৬ হাজার ৫৭৪ জন। এর মধ্যে ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১০৪ জন, তথা ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছি।

আবার এই শিক্ষার্থীরা জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২০১৬ সালে। ওই পরীক্ষায় ৯ বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিল ২৪ লাখ ১২ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছিল ১৯ লাখ ২৯ হাজার ৯৯ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৭৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। একই ব্যাচ এইচএসসিতে এসে শতভাগ ‘পাস’ করার গৌরব অর্জন করবে।