এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি বোর্ড সভায়, দোলাচলে শিক্ষার্থীরা
চলমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। তবে বছরের শুরুর দিকে এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে স্থগিত হয়ে যায়। করোনার কারণে এর আগে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা এবং জেএসসি-জেডিসি বাতিলের করা হয়েছে। এদিকে দ্বিতীয় দফা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এতে করে শঙ্কা বেড়েছে শিক্ষার্থীদের।
চলমান এই পরিস্থতির কারণে সম্ভবত পরীক্ষাবিহীন একটি বছর দেখতে যাচ্ছে দেশ। এর আগে দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত থাকা এইচএসসি পরীক্ষা আদৌ হবে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না সরকারের কর্মকর্তারা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সব দিক রক্ষা করেই প্রধানমন্ত্রী একটি সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা করছেন। তবে এই বিষয়টি নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা রয়েছেন উদ্বিগ্ন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পৌনে ১১টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে বলা হয়েছে, “এইচএসসি পরীক্ষা হবে না’এই মর্মে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। পরীক্ষার্থীদের বারবার বলা হচ্ছে, তারা যেন লেখাপড়া চালিয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।”
গতকাল ঢাকা শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে ১১ বোর্ডের চেয়ারম্যানদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের পর ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু জিয়াউল হক বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার বোর্ডের নাই।’ বোর্ডের চেয়ারম্যানরা জানিয়েছেন, ১৫ দিন সময় পেলেই তারা এইচএসসি পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত। তবে এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এছাড়া আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের সভায় জানানো হয়, চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে পূর্বের মতো পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ নেই। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রতি বেঞ্চে একজন অথবা দুজন করে পরীক্ষার্থী বসানো হবে। পরীক্ষা কেন্দ্র স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এ পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। এইচএসসি পরীক্ষা নিতে সব শিক্ষা বোর্ডগুলোকে প্রস্তত থাকতে বলা হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন অবস্থায় চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা ও হতাশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। শিক্ষাবর্ষের এই শেষ সময় ও দ্বিতীয় দফা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা জাগাচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। করোনা মহামারির কারণে তা অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে যায়। গত ২২ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয় যা আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।