এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে
বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা প্রয়োজনে পিছিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক।
তিনি বলেছেন, পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি; সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত এইচএসসির তত্ত্বীয় এবং ৫ থেকে ১৩ মের মধ্যে সব ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করার সূচি নির্ধারিত আছে। এর আগে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আতঙ্কের মধ্যে গত ১৬ মার্চ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।
ওইদিন এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন করলে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, আরও কয়েকদিন দেখে তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সতর্কতামূলক, প্রতিরোধমূলক যা কিছু আমাদের প্রয়োজন হবে আমরা সেই সিদ্ধান্ত নেব, কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পিছপা হব না। বৈশ্বিক এবং দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক জিয়াউল বলেন, ‘পরীক্ষা পেছানোর প্রয়োজন হলে তো শুধু ঘোষণা দিলেই হবে। আমরা সবকিছুই মাথায় রাখছি।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পরীক্ষা পেছানো হবে কি না, তা পরীক্ষা শুরুর আগে জানিয়ে দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সে বিষয়টি আমাদের মাথায় রয়েছে। পরীক্ষা পেছানোর প্রয়োজন হলে অবশ্যই আমরা পিছিয়ে দেব।’
এইচএসসির ঢাকা বোর্ডের বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে যারা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করবেন তাদের নিয়ে গত ১৬ মার্চ শিক্ষাবোর্ডে মতবিনিময় সভা করার থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে, এখনও ওই সভা হয়নি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছু বলেন, ‘পরিস্থিতি দিন দিন খাপারের দিকে যাচ্ছে। পরিস্থিতি এ রকম থাকলে এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হবে, এমন সিদ্ধান্ত মাথায় রেখেই মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১৭ জনের এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার খবর দিয়েছে সরকার, মৃত্যু হয়েছে একজনের। আর বিশ্বের ১৫৮টি দেশে ২ লাখ ১৮ হাজার মানুষ নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন; মৃতের সংখ্যা ৮৮০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তথ্য।