আগুনে পুড়ে মরল ভিকারুননিসা ছাত্রী জান্নাত
আগুনে পুড়ে মারা গেলেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী আফরিন জান্নাত। ঢাকার ইস্কাটন এলাকার দিলু রোডের একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ জান্নাতসহ তিনজন মারা যান। অন্য দুইজন হলেন আবদুল কাদের (৪৫), ও এ কে এম রুশদী (৫)। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত চারটার দিকে দিলু রোডের পাঁচতলা একটি ভবনে আগুন লাগে।
মৃত আফরিন জান্নাত এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবা জাহাঙ্গীর আলম (৪২) পূর্ত ভবনের প্রশাসনিক সেকশনে চাকরি করেন। তার মা লাল বানু (৩৫) গৃহিণী। তাঁরা ওই ভবনের ছাদের একটি রুমে থাকেন।
আফরিনের চাচা মো. সুরুজ্জামান বলেন, আগুন লাগার খবরে আতঙ্কিত হয়ে আফরিন সিঁড়ি দিয়ে নিচের দিকে নামে। আর ওপর থেকে বাবা ও ভাই গ্রিল বেয়ে নামেন। তাঁরা দুজনেই সামান্য আহত হন। আফরিনের মা নামতে গিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাঁর পা ও কোমরের হাড় ভেঙে যায়। তিনি পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি।
চাচা ও বাবার ধারণা, দগ্ধ কিশোরীটি তাঁদেরই মেয়ে। বাবা বলেন, ‘আমরা ছাদ থেকে পাশের ভবনে লাফিয়ে পড়ি। আমাদের আগেই মেয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচের দিকে চলে যায়। এটা আমারই মেয়ে।’
চিকিৎসক ও পুলিশ বলছে, আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে আবদুল কাদের ছাড়া বাকি দুজনের শরীর একেবারে পুড়ে গেছে। তাদের চেনা যাচ্ছে না। অন্য কোনো দাবিদার না থাকায় দুই পরিবারের কাছে লাশ দুটি হস্তান্তর করা হবে। অবশ্য এই দুটি লাশের ডিএনএ সংরক্ষণ করা হবে। ফলে, কোনো সমস্যা হবে না।
হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খন্দকার সেলিম শাহরিয়ার জীবন স্টালিন বলেন, মৃত তিনজনের মধ্যে শিশুসহ দুজন পুরোপুরি পুড়ে গেছে, যা দেখে শনাক্ত করার মতো না। তাই পোড়া দুজনেরই ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহের জন্য ফরেনসিক বিভাগকে বলা হয়েছে। আর আবদুল কাদের পোড়েননি। সম্ভবত তিনি ধোঁয়ার কারণে মারা গেছেন।’
এসআই শাহরিয়ার বলেন, পুড়ে যাওয়া লাশের দাবিদার যাঁরা, তাঁদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হচ্ছে। একাধিক দাবিদার নেই। এ কারণে তাঁদের কাছেই দেওয়া হচ্ছে।