২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৪৮

শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় মাহবুবর মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের ভাঙচুর

ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি

রাজধানীর ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া অভিজিৎ হালদার (১৮) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ভুল চিকিৎসা ও অনিয়মের অভিযোগে পুরান ঢাকার বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে শিক্ষার্থীরা। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হল ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হসপিটাল, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠীর ভুল চিকিৎসা ও অভিযোগে মৃত্যুর ঘটনায় মানববন্ধন করে। 

মানববন্ধনকারীদের অভিযোগ, সে সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের ড্রেস পরিহিত কিছু শিক্ষার্থী মানববন্ধনকারীদের উপর হামলা চালায়। এ সময় উভয়পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হয়।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) এ ঘটনার জেরে ডা. মাহবুবর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেলের প্রধান ফটক আটকে ভাঙচুর করেন পরবর্তীতে তারা কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের প্রবেশ করে ভাঙচুর করে।

সোহরাওয়ার্দী কলেজের ভাঙচুর করা মোটরসাইকেল

সোহরাওয়ার্দী কলেজের ভাঙচুর করতে করতে তারা পুরাতন ভবনের ভেতরেও ঢুকে পড়ে। একপর্যায়ে দ্বিতীয় তলায় উঠে কয়েকটি বিভাগ ভাঙচুর করেন। এ সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সোহরাওয়ার্দী কলেজের বাংলা ও ইংরেজি বিভাগ।

এদিকে এ ঘটনার পরে সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত প্রথম বর্ষের পরীক্ষা এখনো শুরু হয়নি। পরীক্ষার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সে সর্ম্পকেও জানেন না সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়। 

ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের উপপরিচালক (প্রশাসন) ডা. রেজাউল হক বলেন, গত ১৬ নভেম্বর সকালে অভিজিৎ হালদার নামে এক শিক্ষার্থীকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। পরে পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর ডেঙ্গু জ্বর ধরা পড়ে। পরে তাকে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে রোগীর অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু সব চিকিৎসা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চেষ্টার পরও ১৮ তারিখ মারা যায় অভিজিৎ। কিন্তু এখানে আমাদের কোনো ত্রুটি কিংবা অবহেলা ছিল না। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত্যু পরবর্তী মরদেহ হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে রোগীর আত্মীয়কে বুঝিয়ে দেন এবং রোগীর সম্পূর্ণ বিল স্থগিত রাখা হয়।

ডা. রেজাউল হক আরও বলেন, এই মৃত্যুকে কেন্দ্র একটি মহল কোমলমতি ছাত্রদের ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তিমূলক, অসত্য ও উসকানিমূলক তথ্য দিচ্ছে এবং হাসপাতালের পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। যা শত বছরের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে এবং অভ্যন্তরীণ পরিবেশকে নষ্ট করছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।