জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি মুছে ফেলেছে গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল
জুলাই বিপ্লব উপলক্ষ্যে রাজধানীর গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের দেয়ালে আঁকা শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী গ্রাফিতি, দেয়াল চিত্র ও লিখন মুছে ফেলা হয়েছে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে নতুন করে গ্রাফিতি আঁকার ঘোষণাও দিয়েছে অনেকেই।
সম্প্রতি হাই স্কুলের দেয়ালে লেখা ও আঁকা ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের’ গ্রাফিতি সাদা রঙ দিয়ে মুছে ফেলার কাজ করছেন কয়েকজন কর্মচারী।
কর্মচারীদের ভাষ্যমতে, দেয়াল সংস্কারের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের নিযুক্ত করেছে। তারা আরও জানান, নতুন ছবি ও ঐতিহাসিক চিত্র আঁকতে তাদের দুদিন সময় লাগবে।
এ ঘটনার পর মোরশেদ মিশু নামে একজন কার্টুনিস্ট তার স্ট্যাটাসে বলেন, আজ রাতেই রং আর দলবল নিয়ে আমরা ঐ দেয়ালে যাব। আমাদের উদ্দেশ্য কোন শৈল্পিক সৌন্দর্য সৃষ্টি করা নয়, বরং লাল দেয়ালে কালো কালি দিয়ে ‘জুলাই বিপ্লব’-এর শত সহস্র শহীদের নাম লিখে আসব। এরপর দেখা যাক, কে বা কারা শহীদদের নাম মুছতে আসে!
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আফজাল হোসেন রাকিক জানিয়েছেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সূচনা হয়, যা স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়ে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন গড়ার পথ তৈরি করে। সেই ইতিহাস তুলে ধরতেই তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনকারীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্রাফিতি অংকন করেছিল। গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের দেয়াল থেকে সেই প্রতিচ্ছবি মুছে ফেলা হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। দোষীদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
যদিও ঘটনার দুঃখ প্রকাশ করে স্কুলের অধ্যক্ষ আহসান উল্যাহ বলেন, আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত গ্রাফিতি মুছে ফেলার জন্য। জুলাই অভ্যুত্থানের আগেই দেয়াল সংস্কারের জন্য বাজেট পাওয়া গিয়েছিল এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেই সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, দুদিন পর নতুন করে ঐতিহাসিক চিত্র ও গ্রাফিতি আঁকার কাজ শুরু হবে।