চবি স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের ১০ দফা, ক্লাস বর্জনের হুঁশিয়ারি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) নিয়ন্ত্রণাধীন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম চলে আসছে। এসব অনিয়ম বন্ধ, জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের অব্যাহতি, প্রতিষ্ঠান সংস্কারসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে ক্লাস বর্জনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
সোমবার (১১ নভেম্বর) প্রক্টর বরাবর এসব দাবি জানিয়ে আবেদন করে শিক্ষার্থীরা।
এতে উল্লেখ করা হয়, ‘১৫ বছর ধরে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ডুবে ছিল। গত আগস্টে বাংলাদেশ নতুন স্বাধীনতার স্বাদ পেলেও আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছে না; বরং দুর্নীতিবাজ শিক্ষকদের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত অবহেলিত ও জুলুমের শিকার হচ্ছি। তাই আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্য দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ডাক দেবে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে যা জানা গেল
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর, অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং অযোগ্য শিক্ষকদের বহিষ্কার করার পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে যোগ্য , মেধাবী ও শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে; জুলাই গণবিপ্লবের বিরোধিতাকারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; কলেজের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে; ৪. শিক্ষার্থীদের বেতন বৈষম্য দূর করতে, সঠিক বেতন কাঠামো নির্ধারণ করার পাশাপাশি জরিমানার নামে অবৈধভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত লাখ লাখ টাকার হিসাব তদন্ত সাপেক্ষে প্রকাশ করতে হবে; শ্রেণিকক্ষ বৃদ্ধি, ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষসমূহ বাতিল করে শ্রেণিকক্ষগুলো পাঠদানের উপযুক্ত করার পাশাপাশি কলেজকে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের আওতায় আনতে হবে।
এ ছাড়া আধুনিক লাইব্রেরি, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ল্যাব ও কম্পিউটার ল্যাবকে যুগ উপযোগী ও উন্নত মানের করতে হবে; শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশ ও বিজ্ঞানমনস্কভাবে তৈরি করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। যেমন বার্ষিক ক্রীড়া, বিতর্ক, বিজ্ঞানমেলাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে; ছাত্রদের জন্য ছাত্র কমন রুম এবং ছাত্রীদের জন্য ছাত্রী কমন রুমের ব্যাবস্থা করতে হবে; টিফিন ও নামাজের জন্য নির্দিষ্ট স্থান ও বিরতি প্রদান করতে হবে; ফ্যাসিবাদের সব চিকা পোস্টার কলেজ আঙিনা যেকে মুছে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুন: অনলাইন ব্যাংকিংয়ের যুগে প্রবেশ করলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
এ বিষয়ে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর ড কুরবান আলী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘চবি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা একটি আবেদন প্রক্টর বরাবর দিয়েছে। যদিও এটি প্রক্টর অফিসের দায়িত্ব নয়। আমাদের উপউপাচার্য (একাডেমিক) বিষয়টি দেখতেছেন। নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি আন্তরিক। তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো যাচাই বাছাই করে আমরা দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নেব।’