সচিবালয়ে ঢুকে পড়া সেই ২৬ এইচএসসি শিক্ষার্থীর জামিন মেলেনি
এইচএসসি পরীক্ষায় বৈষম্যহীন ফলাফল প্রকাশের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঘটনায় চকবাজার থানার দায়ের করা মামলায় ২৬ শিক্ষার্থীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন। অপরদিকে জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।
জামিন নামঞ্জুর হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন: জহিরুল ইসলাম (২০), মো. ফয়সাল হাসান (২১), মো. রায়হান হোসেন (২১), মো. রুবেল আহাম্মেদ (১৮), মো. রিয়াদ মাহমুদ (২১), মো. মেজবাউর রহমান (১৮), মেহেদী হাসান (১৮), সোহান (২১), ইমরান হোসেন আরমান (১৮), মেহেদী হাসান অন্তর (১৯), সাগর (১৮), রোহান (১৮), শাহরিয়ার হোসেন (১৮), আহাদ মোল্লা (২২), সোহান (১৮), মাসনুন (১৮), নাঈম (১৮), ইমাম হাসান (১৮), শাকিল (১৮), সেলিম (১৮), সাকলাইন মুস্তাক (১৮), হানজালাল (২২), মশিউর রহমান (১৮), প্রান্তিক (১৮), তাছিম রহমান (১৮) ও রবিন মিয়া (১৮)।
এর আগে গত রোববার (৩ নভেম্বর) এ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গত ২০ অক্টোবর ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধাদানের বিষয়ে চকবাজার থানায় মামলা হয়। রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২৬ জনকে গ্রেফতারের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ অক্টোবর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জের ধরে কিছু শিক্ষার্থী বিভিন্ন দাবি নিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনে আন্দোলন করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ২০ অক্টোবর বেলা ১.৩০ মিনিটের দিকে অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জন উচ্ছৃংখল শিক্ষার্থী দলবদ্ধ হয়ে চকবাজার মডেল থানাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মূল গেটে অবস্থান নেয়।
পরে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে প্রধান গেইট ভেঙে অতর্কিতভাবে ভেতরে প্রবেশ করে তারা। অতঃপর তারা বোর্ডের প্রশাসনিক ভবনের সপ্তম তলায় চেয়ারম্যান মহোদয়ের দফতরে জোরপূর্বক প্রবেশ করে অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করে এবং আসবাপত্র ভাঙচুর করে। এসময় তাদের নিক্ষিপ্ত পাথরে পরিচ্ছন্নকর্মী রতন চন্দ্র রায়সহ (৩৫) কয়েকজন জখম হন। এ ঘটনায় গত ২০ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উপ-সচিব খলিলুর রহমান বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটা মামলা দায়ের করেন।