৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:১৫

নানা নাটকীয়তায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে উপাধ্যক্ষ নিয়োগ

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে উপাধ্যক্ষ নিয়োগ

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের নতুন উপাধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেছেন অধ্যাপক আবদুল মজিদ। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) তিনি যোগদান করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আবুল বাশার ভূঁঞা। সাবেক উপাধ্যক্ষ পদত্যাগের ৪০ দিন পর নতুন  উপাধ্যক্ষ যোগদান করেছেন। 

গত ২৪ অক্টোবর মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেনকে উপাধ্যক্ষ পদে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর ২৯ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বলা হয় প্রশাসনিক কারণে জনাব মো. দেলোয়ার হোসেনের পদায়ন বাতিল করা হলো। 

একই দিন (২৯ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সরকারি কলেজ-২ এর উপসচিব মো. মাহবুব আলম এর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উপাধ্যক্ষ পদে পদায়ন করা হয় অধ্যাপক আবদুল মজিদকে।

বিষয়টি নিয়ে অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, পরপর তিনদিন আমি ভিক্টোরিয়া কলেজে যোগদান করার জন্য গিয়েছি। ২৯ অক্টোবর আমি অধ্যক্ষ মহোদয়ের কক্ষে বসা ছিলাম। তিনি বললেন, বাসায় গিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে আসেন। কলেজের গাড়িতে বাসায় গেলাম। এরই মাঝে জানলাম নতুন প্রজ্ঞাপন প্রকাশ হয়েছে। সরকার যখন, যেখানে দায়িত্ব দিবে। আমি সে কাজ যথাযথ পালন করবো। 

যোগদানের পর নতুন  উপাধ্যক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ, শিক্ষকবৃন্দ, ৯টি সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।

নতুন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল মজিদ বলেন, আমি আনন্দিত। সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। ভিক্টোরিয়া পরিবারের সবার ভালোবাসা, দোয়া ও সহযোগীতা চাই, যেনো যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারি। 

কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী নুজহাত নোভা বলেন, উপাধ্যক্ষ স্যার কান্দিরপাড় শাখায় মূলক দায়িত্ব পালন করেন। ক্লাস মনিটরিং করেন। উপাধ্যক্ষ স্যার যোগদান করার ফলে এ শাখায় একাডেমিক মান আগের মতো ভালো থাকবে।

অধ্যাপক আব্দুল মজিদ সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন ১৭ নভেম্বর ১৯৯৩ সালে ১৪ তম বিসিএস এর মাধ্যমে। তিনি কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার দলকুইয়া গ্রামের বাসিন্দা। ১ জানুয়ারি ১৯৬৯ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। 

প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে  গত ২১ আগস্ট পদত্যাগ করেছেন এ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. আবু জাফর খান ও উপাধ্যক্ষ মৃনাল কান্তি গোস্বামী। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে।