১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২১

১২ শিক্ষকের কলেজের একমাত্র ছাত্রীটিও ফেল!

মুন্ডুমালা বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ  © সংগৃহীত

রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভার মুন্ডুমালা বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক রয়েছেন ১২ জন, কর্মচারী ৪ জন। আর পরীক্ষার্থী ছিলেন মাত্র ১ জন। কিন্তু তবুও পাস করতে পারেননি ওই শিক্ষার্থী। চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় এই একজন শিক্ষার্থীই অংশ নেয়। 

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় কলেজটির একমাত্র পরীক্ষার্থীও পাস করতে পারেননি।

এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাদিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মুণ্ডুমালা বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মোছা. বুলবুলি খাতুন নামের একজন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি ফজর আলী মোল্লা কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন করেন।ফল প্রকাশে দেখা যায়, ওই একজন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন, অর্থাৎ আমাদের কলেজ থেকে এ বছর কেউ পাস করেনি; একজন পরীক্ষার্থী, একজনই ফেল।

অধ্যক্ষ সাদিকুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ ২২ বছর ধরে বেতন-ভাতা পান না শিক্ষকরা। তাই ১২ জন শিক্ষকের মধ্যে গড়ে ৪ থেকে ৫ জন নিয়মিত অফিস করেন। বাকিরা অন্যান্য জায়গায় চলে গেছেন। এমপিওর জন্য অপেক্ষা করে করে আমরা ক্লান্ত। নিয়মিত শিক্ষক না আসায় অভিভাবকরা শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে চায় না। চলতি বছর সাধারণ শাখা থেকে একজন পরীক্ষা দিয়েছিল। কী কারণে পাস করতে পারেনি সেটা বুঝতে পারছি না। তবে এ বছর কলেজে ১১ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।’

আরও পড়ুন: ২ পরীক্ষার্থীর জন্য ১৪ শিক্ষক, পাশ করেনি কেউ

তানোর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মুণ্ডুমালা বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজে মাত্র একজন পরীক্ষার্থী ছিল, সে-ও পরীক্ষায় ফেল করেছে। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা দীর্ঘ প্রায় ২২ বছর ধরে বিনা বেতনে চাকরি করছেন, যা দুঃখজনক।

মুন্ডুমালা পৌর এলাকার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা খুবই বিষয়টি দুঃখজনক। এমপিওভূক্ত হয়নি এটা যেমন কষ্টের বিষয় তেমনি ফলাফল সন্তোষনজক না হলে প্রতিষ্ঠানের মান থাকবে না। এমনিতে তো বেতন নাই তারপরে যদি এমন ফলাফল হয় তাহলে এমপিও তো হবেই না।’