০১ আগস্ট ২০২৪, ১৮:২৮

আন্দোলনে গ্রেপ্তার হওয়া ৩ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর

সিএমএম আদালত  © টিডিসি ফটো

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় পুলিশ হেফাজতে থাকা তিন এইচএসসি পরীক্ষার্থী জামিন পেয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে  বলা হয়, বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) ঢাকার সিএমএম আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেছে। শীঘ্রই তারা কারামুক্ত হয়ে পরিবারে ফেরত যাবে।

জানা যায় এর আগে এসব শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে চূড়ান্ত চার্জশিট প্রকাশের আগে কোন ব্যক্তিকে আসামি হিসেবে সাব্যস্ত করা যায় না বলে দাবী করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের। শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষার্থী হওয়ায় তাঁদের জামিন মঞ্জুর করে আদালত।

এদিকে দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে অসত্য, বিভ্রান্তিকর, কুরুচিপূর্ণ ও বানোয়াট তথ্য-উপাত্ত পোস্ট বা শেয়ার না করতে প্রাথমিকের শিক্ষক-কর্মচারীদের নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। আদেশের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়।

গতকাল বুধবার অধিদপ্তরের পরিচালক, প্রশাসন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. হামিদুল হকের সই করা এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা কোটা আন্দোলন সংক্রান্ত কনটেন্ট যা সরকারকে বিব্রত করে এমন সেগুলো ফেসবুকে শেয়ার দিলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন।

এতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছু কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি/গোষ্ঠী বিভিন্ন অসত্য, বিভ্রান্তকর, কুরুচিপূর্ণ ও বানোয়াট তথ্য উপাত্ত ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট/শেয়ার করে সরকারকে হেয়প্রতিপন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে লিপ্ত রয়েছেন। 

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর দেশের অন্যতম বৃহৎ সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং এ অধিদপ্তরের আওতায় বর্তমানে প্রায় পাঁচ লাখের কাছাকাছি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সরকারের কোনো আদেশ, নিষেধ বা কার্যক্রম সর্ম্পকে সমালোচনা করা বা সরকারি কোনো কার্যক্রম বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক পোস্ট/শেয়ার করা ‘সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা-১৯৭৯’ এর পরিপন্থি।

এতে আরো বলা হয়েছে, এর আগেও প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী-শিক্ষকদের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ) এ বর্ণিত বিধান অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক এবং ইতঃপূর্বে এ অধিদপ্তর থেকে বহুবার বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে সব শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অবহিত করা হয়েছে।