২৬ জুলাই ২০২৪, ০০:২২

ন্যায়ের জন্য আত্মত্যাগের উপমা হয়ে থাকবে সৈকত: শ্রেণি শিক্ষক জহিরুল

নিহত সৈকত ও তার শ্রেণি শিক্ষক জহিরুল  © সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও পরবর্তী সময়ে সংঘাতে এ পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে ২০৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল। মৃত্যুর এই হিসাব কিছু হাসপাতাল, মরদেহ নিয়ে আসা ব্যক্তি ও স্বজনদের সূত্রে পাওয়া। সব হাসপাতালের চিত্র পাওয়া যায়নি। 

নিহতদের মধ্যে একজন রাজধানীর সরকারী মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাহামুদুর রহমান সৈকত (২০)। গত শুক্রবার বিকেলে সংঘর্ষের চলাকালীন সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। নিহত সৈকতের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায়।

মাহামুদুর রহমান সৈকতের অকাল মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তার সহপাঠী ও শিক্ষকরা। তেমনি একজন তার শ্রেণি শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম। ফেসবুকে পোস্ট করা তার একটি স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়েছে।

সেখানে তিনি লিখেছেন, আমার ছাত্র সৈকত! শহীদ সৈকত! ওর শ্রেণি শিক্ষক হিসেবে ওকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। ওর মতো নম্র, ভদ্র, মেধাবী ও সুদর্শন ছাত্র খুব কমই পেয়েছি। ওর হাসিমাখা মুখখানি বারংবার ভেসে উঠছে মানসপটে।

তিনি আরও লেখেন, গত শুক্রবার গোধূলির রঙে হারিয়ে গেল সৈকত চিরতরে! কি অকাল প্রয়াণ! কি হাহাকার চারিদিকে! কি বেদনার অমানিশা মরমে মরমে! তবুও আমাদের সৈকত বেঁচে রবে মুমূর্ষু চেতনার সঞ্জীবনী রূপে, বন্ধুবাৎসল্যের প্রতীক হিসেবে ও ন্যায়ের জন্য আত্মত্যাগের উপমা হয়ে!