একাদশে ভর্তিতে কলেজ পরিবর্তন ও কোটা নির্ধারণ যেভাবে
তিন দফায় আবেদন শেষে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে চূড়ান্ত ভর্তি প্রক্রিয়া আজ সোমবার (১৫ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে। দেশের সব কলেজে আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত একযোগে এ ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে। এ জন্য কোটা, ভর্তি ফি ও কলেজ পরিবর্তনসহ বিভিন্ন নিয়মও বলে দেওয়া হয়েছে। অনলাইনে আবেদন করে যে কলেজে নির্বাচিত হয়ে ফি জমা দিয়ে নিশ্চায়ন করেছেন শিক্ষার্থীরা, সশরীরে সেই কলেজে গিয়ে ভর্তি হতে হবে।
জানা গেছে, একাদশ শ্রেণির ভর্তি শেষে অনুষ্ঠানিকভাবে সারাদেশে একযোগে ক্লাস শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই। এবার শিক্ষা বোর্ডের অনুমতি ছাড়া ভর্তিকৃত কোনও ছাত্র-ছাত্রীর ছাড়পত্র (টিসি) ইস্যু করা যাবে না। অনুমতি ব্যতীত ছাড়পত্রের বরাতে ভর্তিও করা যাবে না। টিসির মাধ্যমে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে ছাত্রছাত্রী ভর্তির ১৫ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফিসহ কাগজপত্র শিক্ষা বোর্ডে জমা দিতে হবে।
এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট আসনের ৯৩ শতাংশ মেধা কোটা থাকবে। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। আর ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাকি ১ শতাংশ বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য রয়েছে। এবারও এসব আসনে শিক্ষার্থী না থাকলে মেধা কোটায় ভর্তি হবে।
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ফি সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৫০০ টাকা। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলোর নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ভর্তি ফি। আর বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো নিতে পারবে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ টাকা। অন্য মেট্রোপলিটন এলাকার বাংলা ভার্সনের কলেজগুলো সর্বোচ্চ ৫ হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে ৬ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে।
জেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সন ৩ হাজার ও ইংরেজি ভার্সন নিতে পারবে ৪ হাজার টাকা ফি। উপজেলা পর্যায়ে বাংলা ভার্সন ২ হাজার ৫০০ টাকা ও ইংরেজি ভার্সন ৩ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে।
আরো পড়ুন: একাদশে চূড়ান্ত ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু আজ
ঢাকা মেট্রোপলিটনের এমপিওভুক্ত কলেজে উভয় ভার্সনে ভর্তির ফি ৫ হাজার টাকা নিতে পারবে। অন্য মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। এ ছাড়া জেলা পর্যায়ে ২ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে। আর উপজেলা পর্যায়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা ফি নিতে পারবে।
চলতি বছর এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য আসন আছে ২৫ লাখের মতো।