এইচএসসি পরীক্ষার হলে থাপ্পড় মেরে পরীক্ষার্থীর নাক ফাটালেন শিক্ষক
এইচএসসি পরীক্ষার হলে কথা বলার অপরাধে থাপ্পড় মেরে এক পরীক্ষার্থীর নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দায়িত্বরত শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে সরকারি বরিশাল কলেজের ৩০৩ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নাইমা খান শেফা বরিশাল অমৃত লাল দে কলেজের একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগে কথা বলার অপরাধে নাইমা খান শেফা নামের এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে থাপ্পড় মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছে মো. আনিসুর রহমান নামের এক শিক্ষক। পরে ওই পরীক্ষার্থীর খাতা নিয়ে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এতে পরীক্ষার্থী ক্ষমা চেয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অনুরোধ করলে বিগত পরীক্ষার খাতা খুঁজে নাম্বার কেটে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় তাকে।
নাইমা খানের বন্ধু অভিজিত রায় জানান, স্যার আসতে দেরি হওয়ায় আমরা সবাই গল্প করছিলাম। এর মধ্যেই হঠাৎ স্যার চলে আসে এসে শেফাকে চোখে পড়ে। তারপর সেফাকে থাপ্পড় দিয়ে নাক ফাটিয়ে দিল এবং হল থেকে বের হয়ে যেতে বললেন।
আরেক শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আবিদ জানান, আজ আমাদের কলেজ এর একটা বোনের গায়ে হাত দিয়েছে। কাল যে আমার আরেকটা বোন বা ভাইয়ের গায়ে হাত দিবেনা তার কি গ্যারান্টি আছে? আমরা একটা সুস্থ মন মানসিকতা নিয়ে পরীক্ষা দিতে যাই। এগুলো দেখলে কীভাবে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাইমার এক বান্ধবী জানান, পরীক্ষা শেষে শেফার অভিভাবক আসলে বরিশাল কলেজের স্যাররা বিষয়টি চাপা দিতে শেফার অভিভাবক এবং তার খাতা খুঁজে বের করে পরীক্ষা বাতিল করে দিবে বলে হুমকি দেয়। পরে সিফার অভিভাবকরা ভয়ে বাড়ি চলে যায়।
এ বিষয়ে সরকারি বরিশাল কলেজের অধ্যক্ষ মো. আলী হোসেন হাওলাদারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।