কলেজ আছে শিক্ষকও আছে, শুধু নেই পরীক্ষার্থী
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটি থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় নিয়মিত কোনো পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারেনি। তবে গত বছর বাংলা বিষয়ে অকৃতকার্য এক অনিয়মিত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছেণ। অবকাঠামো ও শিক্ষকরা থাকলেও ২০২২ সালে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি কলেজটিতে। ফলে কেউ এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।
উপজেলার গড়াডোবা আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় একজন পরীক্ষার্থীও অংশ না নেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে নানা ধরনের আলোচনা ও সমালোচনা। তবে এ প্রতিষ্ঠান থেকে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে অকৃতকার্য এক শিক্ষার্থী এ বছর স্থানীয় সান্দিকোনা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৪ সালের ১ জানুয়ারি গড়াডোবা আব্দুল হামিদ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে এটি উচ্চ মাধ্যমিক স্বীকৃতি পায়। ২০১৮ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আসছেন। গত বছর এ প্রতিষ্ঠান থেকে মাত্র ৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।
এর মধ্যে পাস করেন মাত্র চারজন। অকৃতকার্যদের মধ্যে নেছার আহমেদ নামে একজন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন। তবে নিয়মিত কোনো শিক্ষার্থী না থাকায় এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি থেকে কেউ অংশগ্রহণ করেননি।
আরো পড়ুন: ৪৬তম বিসিএসের ফাঁস হওয়া প্রশ্নে উত্তীর্ণ ১৪ জন?
গড়াডোবা আব্দুল হামিদ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ২০২২ সালে কলেজ শাখায় একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি হয়নি। কয়েকজন শিক্ষার্থী বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়ে অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। ভবন সংকট ও অবকাঠামোগত কারণে এখানে কেউ ভর্তি হতে চায় না। ২০২৩ সালে কতজন ভর্তি হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল আলম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় গড়াডোবা আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ থেকে একজন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। নিয়মিত কোনো পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেনি।