২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:০১

কলেজ এমপিওভুক্ত হলেও আসেন না শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

জনতা কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজ  © টিডিসি ফটো

নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলাটি হাওর বেষ্টিত একটি উপজেলা। হাওর এলাকায় পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে এলাকার সচেতন লোকজনের সহায়তায় জনতা কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজটি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে এখন জেলার মদন উপজেলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াই দাঁড়িয়ে আছে জনতা কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের সাইন বোর্ড ও ঘর। শুরু হয়নি পাঠদানও।

প্রতিষ্ঠানটির চারদিকে রয়েছে কৃষি জমি। সড়কের পাশেই চোখে পড়বে দুটি হাফ বিল্ডিং ঘর। শুধুমাত্র ঘরের পাশে ঝুলিয়ে রাখা আছে জনতা কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের সাইনবোর্ডটি। ভবনের দরজা বন্ধ রেখে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হলেও কোন শিক্ষক শিক্ষার্থী এখানে আসে না বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

সাইনবোর্ডে ২০০৫ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হলেও ঘরগুলো নির্মাণ করা হয় দুই বছর আগে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফতেপুর ইউনিয়নে হাসনপুর গ্রামে গেলে সড়কের পাশে কৃষি জমির মাঝ খানে দুটি হাফ বিল্ডিং ঘরগুলো তালা বদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। পাশে জনতা কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এসময় কোন শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসীরা জানান, গত দুই বছর আগে এই ঘরগুলো নির্মাণ করলেও আদৌ কোন শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হয়নি। এর কয়েক বছর আগে স্থানীয় তিয়শ্রী ইউনিয়নের বালালী বাঘমারা বাজারের একপাশে এই প্রতিষ্ঠানের নামে একটি সাইনবোর্ড ঝুলানো ছিল। যেহেতু হাসনপুরে ঘর নির্মাণ আছে এখন এর কার্যক্রম শুরু করলে অনুন্নত এলাকার ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীরা উপকৃত হতো।

এদিকে, কলেজ অধ্যক্ষ আরিফুর রহমান খানও এখানে ক্লাস শুরু না করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি অতি শিগগিরই ক্লাস শুরুর বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালে এমপিওভুক্ত হয়। এ কলেজে আমিসহ ৯ জন স্টাফ আছেনি। আর নবম শ্রেণিতে ১২ জন, একাদশ শ্রেণিতে ১০০, দ্বাদশ শ্রেণিতে ৬২ জন শিক্ষার্থী আছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারী জানান, কলেজ অধ্যক্ষ আরিফুর রহমান খানকে ফোন দিলে তিনি ক্লাসে আছি বলে জানান। তবে এখানে ক্লাস হয় না বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি খোঁজ খবর নেব। তিনি আরো বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত। তবে শিক্ষক কর্মচারীরা নন-এমপিওভুক্ত।

প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহ আলম মিয়া দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমার জানা মতে এ কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ক্লাস না নিলে অতিশিগগিরই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।