১৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:৫৮

এইচএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে ৩০ নভেম্বর

অভিভাবকের সাথে জনৈক পরীক্ষার্থী  © ফাইল ছবি

চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আগামী ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত হতে পারে। আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের একাধিক সদস্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক এই পরীক্ষাটি গ্রহণের ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের রেওয়াজ রয়েছে। এবারও ওই সময়সীমার মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে। যদিও বন্যার কারণে তিনটি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা দেরিতে শুরু হয়েছিল।

জানা গেছে, ফলাফল প্রকাশের জন্য নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের শেষ দিনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তবে এটি চূড়ান্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ফল প্রকাশের সম্ভাব্য কিছু তারিখ জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাবে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড।

নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। আপাতত এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়—অধ্যাপক তপন কুমার সরকার, সভাপতি আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি

বোর্ডের পাঠানো প্রস্তাব পর্যালোচনা করে তা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী যেদিন অনুমোদন দেবেন সেদিনই ফল প্রকাশ করবে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাখার এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, সাধারণত ৬০ দিন পূর্ণ হওয়ার আগেই এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হয়। এবারও সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বিষয়ের খাতা দেখা শেষ করে পরীক্ষকরা জমা দিয়েছেন। নম্বর ইনপুট দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহের শেষ দিনকে ফল প্রকাশের জন্য বেছে নিয়েছি। আমরা সেভাবেই একটি প্রস্তাবনা পাঠাব। এরপর প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্তভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। আপাতত এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।

এর আগে গত ১৭ আগস্ট থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। আর শেষ হয় ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ৪ অক্টোবর শেষ হবে।

তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ২৭ আগস্ট থেকে শুরু হয়। আর শেষ হয় অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে।

এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী। চলতি বছর সকল বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষার্থীরা অংশ নেন। তবে আইসিটিতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা হয়।

এবার দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১১ লাখ ৮ হাজার ৫৯৪ জন শিক্ষার্থী। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় অংশ নেন ৯৮ হাজার ৩১ শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে ছাত্র ৫৩ হাজার ৬৩ জন এবং ছাত্রী ৪৪ হাজার ৯৬৮ জন। মোট কেন্দ্র ৪৪৯টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৬৮৮টি।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল) ও ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ৫২ হাজার ৭১৭ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৯ হাজার ৫৭৩ জন এবং ছাত্রী ৪৩ হাজার ১৪৪ জন। মোট কেন্দ্র ৬৭৪টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক হাজার ৮৩৪টি।