বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে এইচএসসি পরীক্ষা দিল মেয়ে
বাবার হাত ধরেই প্রথম স্কুলযাত্রা শান্তা ইসলামের। প্রতিটি পরীক্ষার আগের রাতে তার থেকে বাবার দুশ্চিন্তাই বেশি ছিল। অথচ আজ এইচএসসির চৌকাঠ পেরোতে বাবাকে ছাড়াই যেতে হয়েছে পরীক্ষার হলে। কেননা বাবা আজ নিষ্প্রাণ, নিথর।
আজ মঙ্গলবার ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী শান্তা ইসলাম বাড়িতে বাবার মরদেহ রেখে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তৃতীয় দিনে ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষা ছিল তার।
বাবাকে হারিয়ে অনেকটা নির্বাক হয়েও পরিবারের সদস্য, সহপাঠী ও কেন্দ্র সচিবের সহযোগিতায় আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজে শান্তা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। এক হাতে চোখ মুছে, অন্য হাতে খাতায় লিখতে দেখা গেছে তাকে।
শান্তা ইসলাম আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজ কামারগ্রামের মানবিক শাখার ছাত্রী। আজ সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে শান্তার বাবা মো. মাহামুদ হোসেন নিজ বাড়িতে মারা যান। তিনি উপজেলার পানাইল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
শান্তা ইসলামের স্বজনরা জানান, মাহামুদ হোসেন সকালে নিজ বাড়িতে মারা যান। মৃত্যুর পর বাবাহারা শান্তা এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব শাহ্ মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, শান্তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি আমরা জানি। তার জন্য কোনো বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। আমরা মনে করেছি, বিশেষ কোনো ব্যবস্থা ছাড়া সবার সঙ্গে পরীক্ষা দিলে তার মন ভালো হবে। আমরা তাকে উৎসাহ দিয়েছি পরীক্ষা দিতে। তার দিকে সার্বক্ষণিক নজর রাখা হয়েছে।