কর্মচারীদের প্রতারণা, এইচএসসির ক্লাস করেও তারা হতে পারেননি পরীক্ষার্থী
অনলাইনে আবেদন করে ভর্তির সুযোগ পাননি। পরে ২৫ জন শিক্ষার্থীকে অফলাইনে (সরাসরি) ভর্তি করার কথা বলে টাকা নেন বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজের দুই কর্মচারী। ভর্তি কার্যক্রম শেষে তারা নিয়মিত ক্লাস, কলেজের পরীক্ষা সবকিছুতেই অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু গতকাল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার (এইচএসসি) দিনে ওই শিক্ষার্থীরা জানতে পারলেন, তারা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাশেদুল হক, উম্মে হাবীবা, মিলন হাসান ও শারমিন আক্তার জানান, বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে অফলাইনে ভর্তি করানোর প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নেন কলেজের দুই কর্মচারী হারুন মিয়া ও আব্দুল হান্নান।
ভর্তির টাকা জমা নিতে কলেজ প্যাডে ওই ২৫ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় ভর্তির রসিদ। ভর্তির পর দুই বছরে কলেজের নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নেন তারা। এরপর এইচএসসির ফরম পূরণসহ বিভিন্ন ফি’র নামে তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয় অন্তত ৫০ হাজার টাকা করে। কিন্তু পরীক্ষার আগে আর প্রবেশপত্র পায়নি ওই ২৫ জন পরীক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর আগে তারা জানতে পারেন ভর্তি প্রক্রিয়াটাই ছিল ভুয়া। অর্থাৎ, তারা ওই কলেজের শিক্ষার্থীই না।
ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিযুক্ত কর্মচারী হারুন মুঠোফোন বন্ধ করে পালিয়ে যান। আরেক অভিযুক্ত কলেজ কর্মচারী আব্দুল হান্নান বলেন, শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য যাবতীয় কার্যক্রম করেছে হারুন। আমি তাকে সহযোগিতা করেছি মাত্র। এর বাইরে আমার আর কোনো সম্পর্ক নেই।
এ বিষয়ে সরকারি শাহ সুলতান কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর রেজাউন নবী জানিয়েছেন, আমরা বেশকিছু শিক্ষার্থীর প্রতারণার খবর শুনেছি। শেষ মুহূর্তে বিষয়টি জানার ফলে শিক্ষার্থীদের জন্য কিছুই করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের অভিযোগের বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন উপাধ্যক্ষ।