কুমিল্লা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়নি ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী
দেশে বৃহস্পতিবার থেকে অনুষ্ঠিত হয়েছে চলতি বছরের ৮টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষা। প্রথমদিন বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা হয়েছে। এদিকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেও প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর জামাল নাছের।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে নগরীর কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজসহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এসব তথ্য দিয়েছেন তিনি।
এ বছর কুমিল্লা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিল ১ লাখ ৬১ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে পরীক্ষায় বসছে ১ লাখ ৮ হাজার ৫২৭ জন। এবার এ বোর্ডে থেকে ঝরে পড়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর জেলার ৪৩১টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ১৯২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে।
এদিকে, ২০২৪ সালের এসএসসি ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁও কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন এসে এ কথা জানান তিনি। এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনের জন্য আসেন। পরীক্ষা শুরু হলে পরীক্ষার হল পরিদর্শনে করেন। এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হক চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত দুই-তিন বছর আমাদের একাডেমিক ক্যালেন্ডার একটু এলোমেলো হয়েছে। আগামী বছর থেকে এটা ঠিক হয়ে যাবে আশা করি। আগামী বছর আমরা চেষ্টা করবো এইচএসসি পরীক্ষায় এপ্রিলে এবং এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে নেওয়ার। সে অনুযায়ী ক্লাসে পাঠদান করানো হবে।
আরও পড়ুন: তিন বোর্ডে পরীক্ষা দেরিতে হলেও রেজাল্ট হবে একসঙ্গে: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশের কোনো পাবলিক পরীক্ষায় গত পাঁচ বছরে কোনো প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। যা ছড়িয়েছে সেগুলো সবই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এগুলোর সবই গুজব।
দীপু মনি বলেন, ২০১৫ সালের পর থেকে আমরা প্রশ্নফাঁস রোধে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থেকেছি। এজন্য কোনো প্রশ্নফাঁসের ঘটনাও ঘটেনি। আশা করি এবারের এইচএসসি পরীক্ষাতেও এ ধরনের কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না। যদি কেউ গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে থেকে ব্যবস্থা নেবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তিন বোর্ডে দেরিতে পরীক্ষা শুরু হয়েছে ঠিকই। কিন্তু আমরা চেষ্টা করব ৬০ দিনের মধ্যে একসঙ্গে রেজাল্ট প্রকাশ করতে। ডা. দীপু মনি বলেন, দেশে ডেঙ্গু মহামারি বাড়লেও ডেঙ্গু আক্রান্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। সব পরীক্ষা কেন্দ্রেই ডেঙ্গু আক্রান্ত পরীক্ষার্থীর জন্য চিকিৎসাসহ বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।