১২ আগস্ট ২০২৩, ১৬:৫৭

এইচএসসিতে ঝরে পড়েছে ৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী

ঝরে পড়াদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৯ জন  © ফাইল ছবি

আগামী ১৭ আগস্ট থেকে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। তবে বন্যার কারণে তিন বোর্ডের পরীক্ষা ১০ দিন পেছানো হয়েছে। এবার মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। তাদের মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী ১২ লাখ ৩৪ হাজার ৯৩৯ জন। বাকিরা অনিয়মিত ও এক বিষয়, দুই এবং তিন বিষয়ের ফল উন্নয়ন প্রার্থী। 

অন্যদিকে, এবার যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী আছে তাদের সঙ্গে ২ বছর আগে ২০২১ সালে একাদশ শ্রেণিতে নিবন্ধন করেছিল মোট ১৭ লাখ ৬০ হাজার ৭৯৩ জন শিক্ষার্থী। এই হিসাবে এবার ৫ লাখ ২৫ হাজার ৮৫৪ জন শিক্ষার্থীই ঝরে পড়েছে; যা মোট শিক্ষার্থীর ২৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আর ঝরে পড়াদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৯ জন; যা শতকরা হারে ৩৬ দশমিক ১৮ শতাংশ । 

জানা যায় যায়, ২০২০ সালে এইচএসসিতে ৩ লাখ ৭৪ হাজার এবং ২০২১ সালে ৩ লাখ ১৮ হাজার এবং গত বছর ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬৭৮ জন শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। সংখ্যাগত দিক থেকে এবার ঝরে পড়ার হার প্রথম সর্বোচ্চ ।

এবার যে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে, তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আগে ফেল করা শিক্ষার্থী অনিয়মিত হিসাবে অংশ নিচ্ছে ১ লাখ ২১ হাজার ৭৩ জন। প্রাইভেট পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৫৪৪ জন, আর ফল উন্নয়ন পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৭৮৬ জন। 

বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সংখ্যাগত হিসাবে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ঝরে পড়ার হারও বেশি এই বোর্ডে। ২০২১ সালে এ বোর্ডে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৫৪৩ জন একাদশ শ্রেণিতে নিবন্ধন করলেও পরীক্ষা দিচ্ছে ২ লাখ ৮৬ হাজার ০৩ জন। ঝরে পড়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৪০ জন। এভাবে রাজশাহী বোর্ডে ঝরে পড়েছে ৪৩ হাজার ৪২০ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ৫০ হাজার ৮৪২ জন, যশোরে ৪২ হাজার ৯৯৮ জন, চট্টগ্রামে ৩৬ হাজার ৪৫ জন, বরিশালে ২১ হাজার ৯০৪ জন, সিলেটে ২৩ হাজার ৪৩৫ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ৩৫ হাজার ২০১ জন, ময়মনসিংহে ২২ হাজার ৭৮৫ জন ঝরে পড়েছে। সাধারণ বোর্ডে মোট নিবন্ধিত পরীক্ষার্থী হয়েছিল ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫৩৪ জন, আর ঝরে পড়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭০ জন। যা মোটের হিসাবে ২৮ দশমিক ০১ শতাংশ। এছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডে ১ লাখ ৫২ হাজার ৪২৯ জন নিবন্ধন করলেও পরীক্ষা দিচ্ছে ৯১ হাজার ৭৭০ জন।

এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, এসএসসি পাসের পর অনেকেই কারিগরি শিক্ষায় ভর্তি হয়। আবার কেউ কেউ বিদেশে পড়তে চলে যায়। আবার তুলনামূলক কম শিক্ষিত পরিবারের মেয়েদের মধ্যে এসএসসির পর বিয়ে দেয়ার প্রবণতাও বেশি থাকে। সে কারণে এই স্তরে ঠিক কত শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে সেটার প্রকৃত পরিসংখ্যান নিরূপণ করা কঠিন। তবে, এটা বলা যায়-মাধ্যমিক পাসের পরে অনেকে কর্মজীবনে প্রবেশ করে থাকে।