অল্প সময়ে এইচএসসি’র পূর্ণ প্রস্তুতি
আগামী ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০২৩। বাকি মাত্র ১৬ দিন। সময় যেহেতু কম তাই অল্প সময়ের মধ্যেই নিতে হবে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি। পরীক্ষা যেহেতু খুব নিকটে, তাই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি বা রিভাইজ পরীক্ষার্থীদের জন্য খুব কঠিন হয়ে পড়ে। কিভাবে, কোথা থেকে রিভিশন শুরু করতে হবে সেটা অনেকেই বুঝতে পারেনা। কিন্তু একজন পরীক্ষার্থী চাইলে নিজের স্মৃতিশক্তি আরও বাড়াতে পারে। সেই সাথে গভীর মনোযোগ এবং মেজাজও আরও উন্নত করতে পারে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের শেষ সময়ে প্রস্তুতির বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. তাইমুর হোসেন।
স্বাস্থ্য ঠিক রাখা-
স্বাস্থ্য ঠিক তো সব ঠিক। স্বাস্থ্য যদি ঠিক না থাকে অথবা শরীর অসুস্থ থাকলে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা যায় না। গবেষণায় দেখা গেছে যে সকল শিক্ষার্থীরা সকালের নাশতা ঠিকমত খেয়েছে তারা পরীক্ষায় তুলনামূলক ভালো করেছে। সকাল বেলা কার্বোহাইড্রেড বা শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন ওটস, রুটি বা কম চিনি যুক্ত সিরিয়াল। সবশেষ প্রয়োজন পরিমিত ঘুম।
সব বিষয়ের গুরুত্ব সমান-
ভালো ফল অর্জনের জন্য সব বিষয়েই খুব ভালো করতে হবে। দেখা যায়, অনেক শিক্ষার্থী গণিত, ইংরেজি বা বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে জোর দিতে গিয়ে অন্য বিষয়ে সময় কম দেয়। এতে কিছু বিষয়ে আশানুরূপ ফল লাভ করতে পারে না। এ জন্য যেসকল বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, সব বিষয়েই সমান গুরুত্ব দেওয়া দরকার।
রুটিন করে পড়া-
শিক্ষার্থীর অবশ্যই পড়ার রুটিন থাকা উচিত। পরীক্ষার আগের দিন পর্যন্ত একটি সঠিক রুটিন করতে হবে। মনে রাখবে, প্রতিদিন যেন সব বিষয়ের পড়া অন্তর্ভুক্ত থাকে। একটি রুটিন পড়ার অনুশীলনের শৃঙ্খলা বজায় রাখে। আবার শুধু রুটিন তৈরি করে টেবিলের সামনে ঝুলিয়ে রাখলেই হবে না, তা কঠোরভাবে অনুসরণও করতে হবে।
নোট করা-
পরীক্ষায় ভালো করার জন্য দরকারি কোনো বিষয় খাতায় নোট করে করে রাখো। কারণ পরীক্ষায় অনেক বিষয়বস্তু মনে রাখতে হয়। যেমন- গণিতের সূত্র, গুরুত্বপূর্ণ নানা তথ্য। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর লেখার ক্ষেত্রে এসব তথ্য কাজে লাগতে পারে। পরীক্ষার আগের মুহূর্তে নোটগুলো কল করলে পরীক্ষার হলে ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে আসে।
মুঠোফোন বা ডিভাইস দূরে রাখা-
পরীক্ষার এই সময়টাই শিক্ষার্থীদের স্মার্ট ফোন থেকে বিরত থাকতে হবে। কমিয়ে আনতে হবে ইন্টারনেট ব্যবহার। পরীক্ষায় ভালো করার জন্য এটা করতেই হবে।
অভিভাবকদের করনীয়-
সন্তানের পরীক্ষা সামনে এলে অভিভাবকদের অধিক খোঁজ খবর রাখতে হবে। আপনারা প্রিয় সন্তানকে একটু সময় দিন। খেয়াল রাখুন, সে মুঠোফোন বা অন্য কোনো ডিভাইসে আসক্ত হচ্ছে কি-না। তাকে বুঝিয়ে বলুন। অহেতুক জোর খাটাবেন না।অনুপ্রেরণামূলক কথার মাধ্যমে তার মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনুন।
রিভিশন-
পরীক্ষায় ভালো করার জন্য বারবার রিভিশনের বিকল্প নেই। কারণ পরীক্ষায় অনেক বিষয়বস্তু মনে রাখতে হয়। একটা বিষয় বারবার দেখলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও কমে আসে। তাই পরীক্ষার আগ মুহূর্তে নোটসগুলো বারবার রিভিশন করতে হবে।