এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন ১২ লাখের বেশি শিক্ষার্থী
উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ ও কারিগরি-মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার ১২ লাখের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেবে। পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে ১২ লাখের অধিক শিক্ষার্থী। আগামী ১৭ আগস্ট শুরু হবে চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সারাদেশে ১৪ লাখের বেশি ফরম পূরণ করলেও পরীক্ষায় অংশ নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছে ১২ লাখের অধিক শিক্ষার্থী। এর মধ্যে শুধু ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রেজিস্ট্রেশন করেছে তিন লাখ ৩৭ হাজারের বেশি। একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে উঠতে ঝরে পড়েছে দুই লাখের অধিক শিক্ষার্থী।
২০২২ সালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চার লাখের বেশি ভর্তি হলেও তিন লাখ ৩৭ হাজার পরীক্ষার্থী রয়েছে। এভাবে প্রতিটি শিক্ষা বোর্ড থেকে শিক্ষার্থী ঝরেছে।
আগামী ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এইচএসসি-সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ও বিকেল ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে ব্যবহারিক পরীক্ষা চলবে ২৬ নভেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) আন্ত:শিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ড এইচএসসি পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করেছে।
২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশের (এনসিটিবি) ২০২২ সালের পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ১৭ আগস্ট, রুটিন প্রকাশ
প্রথম ধাপে থাকবে বহুনির্বাচনী ও পরের ধাপে সৃজনশীল বা রচনামূলক প্রশ্ন দেওয়া হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী বা এমসিকিউ পরীক্ষার ক্ষেত্রে ৩০ ও সৃজনশীলের জন্য ৭০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যবহারিক বিষয় সংবলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীলের জন্য সময় দেওয়া হবে ২ ঘণ্টা ২৩ মিনিট। প্রতিটি তত্ত্বীয় পরীক্ষার জন্য ৩ ঘণ্টা করে সময় থাকবে।
পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে থেকে সংগ্রহ করবে। তত্ত্বীয় ও বহুনির্বাচনী এবং ব্যবহারিক অংশের পরীক্ষায় আলাদাভাবে পাশ করতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না বলেও এইচএসসি পরীক্ষার রুটিনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, প্রতি বছর কিছু শিক্ষার্থী দেশের বাইরে চলে যায়, কিছু যায় ইংরেজি মিডিয়ামে এবং বিভিন্ন কারণে কিছু শিক্ষার্থী পড়ালেখা ছেড়ে দেয়। একাদশে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হয় তারা সবাই এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে না।