শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাদশে ভর্তি আবেদনে কারচুপি!
পটুয়াখালীর দুমকিতে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির লক্ষ্যে অনলাইন আবেদনের অভিযোগ উঠেছে একটি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে।
কৌশলে রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে আবেদন করে রেখেছেন উপজেলার সালামপুর আমিনিয়া ফাজিল মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এতে বিপাকে পড়েছে অনেক শিক্ষার্থী। পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারে নি বলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, উপজেলার চরগরবদী আঃ গনি সিকদার দাখিল বালিকা মাদরাসা থেকে এবারের দাখিল পরীক্ষায় পাস করেছে তানজিলা আক্তার, সুমাইয়া আক্তার ও তামিম আফসানা এবং চরগরবদী ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে মোঃ রাকিবুল ইসলাম। তারা সকলে ভর্তি হতে ইচ্ছুক উপজেলার বশিরিয়া দারুচ্ছুন্নাত আলিম মাদরাসায়। সে লক্ষে ভর্তি সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র ওই মাদ্রাসায় জমাও দেয়। কিন্তু তাদের অজান্তে দাখিল পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কৌশলে রোল নং ও রেজিষ্ট্রেশন নম্বর কেউ সংগ্রহ করে। পরে দেখা যায়, তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গত ৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২ টার পরে ভর্তি আবেদন করে রেখেছে সালামপুর আমিনিয়া ফাজিল মাদরাসায়। এভাবে আরও বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: বিতর্কিত সেই রেফারিকে ‘বাড়ি পাঠাল’ ফিফা
তানজিলা নামের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা মাহিনুর বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে আমি দূরের ও বেলংগরের পথের সালামপুর মাদ্রাসায় দিব না। আমি কি প্রত্যেক দিন ওর সাথে যেতে পারবো? পথে একটা সমস্যা হলে সে দায় কে নেবে? বশিরিয়া মাদ্রাসা আমাদের বাড়ি থেকে যাতায়াতে ভালো।
এ বিষয়ে সালামপুর আমিনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. অলিউর রহমান বলেন, চরগরবদী জোনে শরীরচর্চা শিক্ষক জাহাঙ্গীরসহ আরও দুইজন শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়েছি। যদি শিক্ষার্থীরা আমাদের এখানে ভর্তি হতে না চায় তবে তাদের রিলিজ দিয়ে দেব।
কিন্তু ওই মাদ্রাসার শরীরচর্চা শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনকে জিজ্ঞেস করলে কোন সদুত্তোর দিতে পারেন নি। পরে একাধিক বার কল করলে আর ধরেন নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল ইমরান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড উপ-রেজিস্ট্রার (কমন) তৈয়ব হোসেন সরকার বলেন, শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূতভাবে আবেদন করা ভর্তি নীতিমালার পরিপন্থী। শিক্ষার্থীরা বোর্ডে আবেদন করুক এবং তাদেরকে নিকটতস্থ থানায় জিডি করতে বলেন।