বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এইচএসসি পরীক্ষা দিলেন সামিয়া

সামিয়া মাহাবুব
সামিয়া মাহাবুব  © সংগৃহীত

সামিয়া মাহাবুবের এইচএসসি পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার ডিন সকালে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শেষ করে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সকাল ৮টার পর বাবার মৃত্যু সংবাদ পান। তার বাবা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সামিয়া। বাবার লাশ বাড়িতে আনা হলে চারিদিকের পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। লাশ বাড়িতে রেখেই পরীক্ষা দিতে চলে যেতে হয় সামিয়াকে। 

সামিয়ার এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে ছিল শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার ইদুলপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় সেখানেই পরীক্ষা দেন তিনি। 

আরও পড়ুন: প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উস্কানির ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি

উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের দাইমি কোদালপুর এলাকার বাসিন্দা সামিয়া। তার বাবার নাম মাহাবুব সরদার। সরকারি সামসুর রহমান কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে তিনি এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন।

সরজমিনে দেখা যায়, তার বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বজন-প্রতিবেশীসহ অনেকেই উপস্থিত হয়েছেন।

সামিয়া জানান, কয়েকদিন ধরে বাবা জ্বরে ভুগছিলেন। আজ সকালে দোকানে গিয়েছিলেন চা খেতে। দোকান থেকে এসেই সামিয়া বলে ডাক দিয়ে মাটিতে পড়ে যান। আমি পাখা দিয়ে তাকে বাতাস করি। পরে বাবাকে ধরাধরি করে গোসাইরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিই। বাবাকে হাসপাতালে দেখে তারপর পরীক্ষাকেন্দ্রে যাব এমনটা ভেবেই বের হচ্ছিলাম। তখনই খবর আসে আমার বাবা আর নেই। বাবাকে সবাই বাড়িতে নিয়ে এলে তাকে বাড়িতে রেখে আমি পরীক্ষার হলে যাই।

হল সুপার মো. দৌলদ আহমেদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাটি শোনার পর আমরা তাকে পরীক্ষা হলে সার্বিক সহযোগিতা করি। তাকে সান্ত্বনা দিই যাতে সে ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাফি বিন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা তাকে উৎসাহিত করি যাতে করে পরীক্ষা দেওয়ার সময় সে একেবারে ভেঙে না পড়ে।


সর্বশেষ সংবাদ