ভবিষ্যতে আমিও এমপি-মন্ত্রী হতে পারি: রাসিক মেয়রকে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান
রাজশাহী সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে শালীনতা বিবর্জিত পত্র লেখায় রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানকে শোকজ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে ১০ দিনের মধ্যে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ আগস্ট রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান রাজশাহী সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে একটি পত্র লেখেন।
আরও পড়ুন: ২৩ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করতে যাচ্ছে ইউজিসি
শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের প্যাডে স্বাক্ষর করা ওই পত্রে লেখা ছিল- ‘আপনার সঙ্গে আমাকে দেখা করার জন্য গেটে অপেক্ষা করতে হবে। আপনার কাছে সময় চাইতে হবে? বিষয়টি কল্পনা করা আমার জন্য দুরূহ। আপনি জানেন কি আমার শাশুড়ি এমপি। আমার আওয়ামী পরিবারে জন্ম। ভবিষ্যতে আমিও এমপি বা মন্ত্রী হতে পারি। গাজীপুরের ও কাটাখালীর মেয়রদের দিকে তাকান। বর্তমানে তাদের কি অবস্থা?’
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের প্যাডে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষর করা এ পত্র পেয়ে বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানান সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকে শোকজ করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ স্বাক্ষরিত চিঠিতে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকে ১০ দিনের মধ্যে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করতে বলা হয়।
এতে বলা হয়, ‘গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার প্রতি উদাসীন এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ এ মন্তব্য একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মচারী বিধিমালা, ২০১৮ এর পরিপন্থী।’
এ বিষয়ে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানকে ফোন করা হলে বলেন, ‘ওই চিঠি আমি লিখিনি। কে বা কারা লিখেছে জানি না। তাদের হয়তো কোন ইন্টারেস্ট আছে, আমার সঙ্গে মেয়র মহোদয়ের সম্পর্ক নষ্ট করার। আমি তো পাগল নই যে একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে মেয়রকে চিঠি লিখবো। পরে আমি চিঠি লিখে মেয়র মহোদয়কে তার জবাব দিয়েছি।’
এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের প্যাডে লেখা শালীনতা বিবর্জিত চিঠি পেয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়। এখন বিষয়টি তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।