করোনার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা নিতে চান না ভিসিরা

  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা নিতে চান না পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা। তবে কোন প্রক্রিয়ায় ভর্তি নেয়া হবে কিংবা করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল শনিবার বৈঠকে বসবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ। 

সূত্র জানায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম বেগবান এবং শিক্ষার্থীদের পাঠক্রমে বেশি মাত্রায় সম্পৃক্ত করতে বৃহস্পতিবার উপাচার্যদেরকে নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।

বৈঠকে অনলাইন পাঠদান ছাড়াও স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কীভাবে এ পরীক্ষা আয়োজন করা যায়, সে বিষয়ে বৈঠকে ভিসিদের কাছে মতামত চাওয়া হয়। তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এটি আয়োজন করার ব্যাপারে অধিকাংশই আপত্তি জানিয়েছেন।

তাদের মতে, যে কারণে এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল হয়েছে সেটি এখনও বিদ্যমান। এ অবস্থায় পরীক্ষা সম্ভব নয়। তাই ভর্তিটা কোন পদ্ধতি প্রয়োগ করে সম্পন্ন করা যায়, সেটি শনিবারের বৈঠকে আলোচনা হবে।

জানা গেছে, ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে না নিলে কোন প্রক্রিয়া অবলম্বন করা যায়, সে ব্যাপারে কিছু মতও এসেছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের আগে নেয়া টেস্ট পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়ন করে তার আলোকে মেধা তালিকা তৈরি। প্রস্তাবটি দিয়েছেন সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ। বোর্ডগুলোয় এখন খোঁজ নেয়া হবে যে, এই নম্বর তারা সংরক্ষণ করে কি না।

বৈঠকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার গ্রেড বা নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তির প্রস্তাব দেন। গত কয়েক বছর ধরে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে এ প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর বলেন, ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে শনিবার বৈঠকে বসবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা। ভিসিদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের বৈঠক আছে ওইদিন।

এ ব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, করোনার এই পরিস্থিতির মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করার ব্যাপারে বৈঠকে প্রায় সবাই আপত্তি জানিয়েছেন। কেননা, যে কারণে এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল হয়েছে সেটি এখনও বিদ্যমান। এ অবস্থায় পরীক্ষা সম্ভব নয়। তাই ভর্তিটা কোন পদ্ধতি প্রয়োগ করে সম্পন্ন করা যায়, সেটি শনিবারের বৈঠকে আলোচনা হবে।

ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগমের সঞ্চালনায় বৈঠকে কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আবদুস সোবহান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আক্তার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদসহ ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ