অনলাইন আবেদনেও ভোগান্তির শেষ নেই সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের

ভুল ফলাফল সংশোধনে অনলাইনে আবেদন করতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের
ভুল ফলাফল সংশোধনে অনলাইনে আবেদন করতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের  © ফাইল ফটো

ভোগান্তি যেন পিছু ছাড়ছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার চরম খেসারত দিতে হচ্ছে তাদেরকে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সকল বিষযে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেও ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে অনুপস্থিত।

আর এসব ক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে শিক্ষার্থীরা যখন কলেজ প্রশাসনের দ্বারস্থ হচ্ছেন তখন সহযোগিতার বদলে উল্টো শুনতে হচ্ছে— ‘সবকিছু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, আমাদের কিছু করার নেই’। আবার যখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এমন সমস্যার প্রতিকার চাইছেন, তখন ‘কলেজগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে’— এমন কথা শুনতে হচ্ছে।

এভাবে করোনাকালে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে সাত কলেজের ফলাফল সমন্বয় ও সংশোধন আবেদন অনলাইনে নিলেও ভোগান্তি কমেনি শিক্ষার্থীদের। জানা গেছে, ফলাফল সমন্বয়ের জন্য শিক্ষার্থীদেরকে দরখাস্তে কলেজ অধ্যক্ষের স্বাক্ষর নিতে হয়।

সংশোধনের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে হাজিরা শিটের ফটোকপি সংগ্রহ করার পর দরখাস্তে এ স্বাক্ষর নিতে হয়। এরপর সেগুলো অনলাইনে আপলোড করতে হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আবেদন অনলাইনে হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতেও ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে কলেজে যেতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।

কবি নজরুল কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী কাওসার ইশতিয়াক বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী গ্রামে। সব বর্ষে পাস থাকা সত্ত্বেও সিজিপিএ না আসায় ফলাফল সমন্বয় করতে হচ্ছে। সমন্বয় আবেদনে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে আবার গ্রাম থেকে ঢাকায় আসতে হচ্ছে। যাতায়াত ভাড়ার পাশাপাশি থাকছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও।’

তিতুমীর কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিয়া ইসলাম বলেন, ‘কলেজ থেকে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা খুবই সময় সাপেক্ষ। দুই সপ্তাহ আগে অনলাইনে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো ফলাফল সমন্বয় হয়নি। কবে সমন্বয় হবে তাও ঠিক নেই।’

এ বিষয়ে কবি নজরুল কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) প্রফেসর আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার বলেন, ‘আবেদনে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি বিবেচনা করবেন।’

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ। এ বিষয়ে এখন কথা বলতে পারব না।’


সর্বশেষ সংবাদ